বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
গত বুধবার বিকেলে জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসকের সঙ্গে বাসিন্দারা বৈঠক করেন। সেখানে চাষিদের বিকল্প রুটিরুজির জন্য এলাকায় দোকানপাট করে দেবার আশ্বাস দেয় প্রশাসন।
জলপাইগুড়ি সদর ব্লক ভূমি সংস্কার আধিকারিক মহম্মদ রাজিবুর রহমান বলেন, আগে মাপজোক করতে এসে বাধার মুখে পড়েছিলাম। বাসিন্দাদের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা হওয়ায় শুক্রবার কোনও বাধার মুখে পড়তে হয়নি। ট্রাক টার্মিনাসের জন্য প্রায় ৭ একর জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির মহকুমাশাসক রঞ্জন কুমার দাস বলেন, প্রকল্প হলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিকল্প আয়ের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।
এদিন স্থানীয় চাষিরা ট্রাক টার্মিনাসের জন্য জমি মাপজোকে বাধা না দিলেও তারা অনেকেই নিজেদের চাষের জমিতে এসেছিলেন। চাষের জমির আল পথে বসে অনেককে অঝোরে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। বাসিন্দা বাসন্তী ব্যাপারি বলেন, প্রায় ৫০ বছর ধরে তিন বিঘা জমিতে চাষ করে সংসার প্রতিপালন করে এসেছি। এবছর পাট চাষের জন্য জমি চষা হয়েছে। সংসারের ৮ জন সদস্য এরপর কীভাবে চলবে সেটাই ভাবছি। আরেক চাষি বিষ্ণুপদ মন্ডল বলেন, প্রায় তিন বিঘা জমিই আমার সম্বল। ট্রাক টার্মিনাসে ওই জমি চলে গেলে সংসার কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে চিন্তায় রয়েছি। প্রশাসন এখন আশ্বাস দিয়েছে, দোকানপাট টার্মিনাস এলাকায় করে দেবে। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত কী হবে, আদৌ রুটিরুজির পথ তৈরি হবে কিনা জানি না। আন্দোলনকারী চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত উপপ্রধান সুভাষ চন্দ, পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ অসীম রায়রা। তারাও এদিন মাঠে দাঁড়িয়ে চাষিদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের পাশে আছি, পাশেই থাকবো। সুভাষবাবু বলেন, প্রশাসনের আধিকারিকরা ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের বিকল্প রুটিরুজির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়ায় আমরাও প্রকল্পের কাজে সকলের সহযোগিতা চেয়েছি।
জলপাইগুড়ি শহরতলির ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বালাপাড়া এলাকায় ট্রাক টার্মিনাসের জন্য জমিটি এদিন চিহ্নিত করতে প্রশাসনের আধিকারিকরা এসেছিলেন। ওই প্রকল্পে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচ করে অত্যাধুনিক ট্রাক টার্মিনাস তৈরি করবে। বর্ষাকালে প্রকল্প এলাকা জলের তলায় ডুবে থাকে। তাই এবছর বর্ষার জল নামতেই গত ১৪ জানুয়ারি প্রকল্পের জমি মাপজোক করতে প্রশাসনের আধিকারিকরা গিয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সঙ্গে এনিয়ে কোনও আলোচনা না করে দ্বিতীয় দফায় ফের চলতি মাসে দপ্তরের আধিকারিকরা জমি মাপজোক করতে যান। কিন্তু দ্বিতীয়বারও তারা বাধা পান। এরপর গত বুধবার প্রশাসনের আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সেখানে চাষিদের পুনর্বাসনের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়। মহকুমাশাসক বলেন, আপাতত জমি মাপজোকের সমস্যা মিটেছে। এরপর প্রকল্পের আর্থিক অনুমোদনের বিষয়টি এনবিডিডি দেখবে।