সংবাদদাতা, মাথাভাঙা: বিয়ের আগে এক পরিচিতের বাড়িতে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক যুবতীর। যুবতীর পরিবার অবশ্য খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবতীর নাম দীপালি বর্মন(২০)। তাঁর বাড়ি মাথাভাঙা-১ ব্লকের শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নলঙ্গিবাড়িতে। সেখানে তিনি দিদার বাড়িতে থেকে পড়াশুনা করতেন। তাঁর বাবা দিলীপ বর্মন বলেন, মেয়ে কলেজে পড়ত। দেখাশুনা করে শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কানফাটা গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেছিলাম। ১৩ মার্চ বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। গত ২৯ জানুয়ারি দু’পক্ষের আর্শীবাদও হয়ে গিয়েছে। বুধবার মেয়ে ওই পরিচিতের বাড়িতে যায়। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে আমাদের ফোন করে জানানো হয় দীপালি আত্মহত্যা করেছে। আমাদের বিশ্বাস মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। মেয়েকে শ্বাসরোধ করে খুন করার পর দেহ ঝুলিয়ে দিয়ে আত্মহত্যার গল্প বলছে। তাঁর দাবি, দীপালির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। যদিও পরিচিত ওই অভিযুক্ত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, দীপালি কেন এমন করল তা তারাও বুঝতে পারছে না। মাথাভাঙা থানার পুলিশ জানিয়েছে,একটি খুনের অভিযোগ জমা পড়েছে। একজনকে আটক করে জিঞ্জাসাবাদ চলছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মেখলিগঞ্জের ভোটবাড়িতে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, মৃত যুবকের নাম মকসেদুল হক(৩০)। এদিন বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের দাদা মহসিন আলি বলেন, ভাই বরাবর মেধাবী ছাত্র ছাত্র ছিল। মাধ্যমিকে স্টার, উচ্চ মাধ্যমিকেও ফাস্ট ডিভিশনে পাস করেছে। এরপর ডিএলএড করার পরও চাকরি হচ্ছিল না। একারণে সে কিছুদিন ধরে অবসাদে ভুগছিল। পুলিস জানিয়েছে, মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত চলছে।