বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
এদিন দুপুরে মালদহ জেলা কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের মূল দপ্তরে এসে পৌঁছন সমবায় মন্ত্রী। সেখানে তিনি বিভিন্ন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলা সদস্যা এবং সমবায় সমিতির সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। ব্যাঙ্ক পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে স্বাগত জানান চেয়ারম্যান সুমালা আগরওয়ালা। সেখানে তিনি বলেন, শতাব্দী প্রাচীন এই ব্যাঙ্ক মালদহের গ্রামীণ এলাকায় ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা নিয়েছে। বহু কৃষিজীবী, স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী, সাধারণ নাগরিকদের আর্থিক সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছে এই ব্যাঙ্ক।
এদিন উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার বিভাগীয় আধিকারিকদের সঙ্গে জেলা প্রশাসনিক ভবনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন অরূপবাবু। বৈঠকে ছিলেন মালদহের জেলাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ও অন্যান্য আধিকারিকরা। পরে মন্ত্রী বলেন, রাজ্যের অনেকগুলি সমবায় ব্যাঙ্ককে নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সমবায় দপ্তরকে দ্রুত ৭৫টি নতুন শাখা খুলতে বলেছিলেন। ৫৪টি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। এছাড়াও সারা রাজ্যে ২৬৩১টি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র তৈরি করছে সমবায় দপ্তর। সেগুলিতে কোর ব্যাঙ্কিং, নেট ব্যাঙ্কিং, আরটিজিএস সহ প্রায় সব পরিষেবাই মিলছে। এগুলিকে মিনি ব্যাঙ্কও বলা যেতে পারে। আমাদের লক্ষ্য রাজ্যের সমস্ত বাসিন্দাদের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা।
অরূপবাবু বলেন, রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্কগুলির মোট সম্পদের বর্তমান মূল্য প্রায় ৩৩ হাজার কোটি টাকা। বাম আমলের বেশ কিছু অনাদায়ী ঋণ এখনও রয়েছে। সেগুলি আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেখানে অনিয়ম ধরা পড়েছে সেখানে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। মালদহ, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান সহ বেশ কয়েকটি জেলায় নজরকাড়া পারফরম্যান্স দেখিয়েছে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কগুলি।
আইহো সমবায় সমিতির চত্বরের অনুষ্ঠানে জড়ো হওয়া স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন সমবায় সমিতির সদস্যদের তিনি বলেন, সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিন। নির্দিষ্ট সময়ে ঋণ পরিশোধ করুন। শোধ হলে বেশ খানিকটা অংশ সুদ সহ ভর্তুকি হিসাবে ফেরত পাবেন আপনারা। এদিন সন্ধ্যায় ইংলিশবাজারের সমবায়িকা ঘুরে দেখেন তিনি। এখানকার ক্রেতাবান্ধব পরিবেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, সমবায়িকাগুলিতে বিভিন্ন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদিত দ্রব্য একই মূল্যে সরবরাহ করতে চায় রাজ্য সরকার।