সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক, কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার বা ... বিশদ
কীভাবে বিতর্ক হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, ছ’টি বিষয়ে বিতর্ক হবে। প্রতি ইস্যুর জন্য বরাদ্দ ১৫ মিনিট। প্রথমে দু’মিনিট করে বক্তব্য রাখার সুযোগ পাবেন দুই প্রার্থী। একজনের বক্তব্য চলাকালীন অন্যজনের মাইক বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তীতে আলোচনার সময় অবশ্য তা চালু থাকবে। তবে ২৯ সেপ্টেম্বর ক্লিভল্যান্ডের বিতর্কসভার পুনরাবৃত্তি হলে মাইক বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন সঞ্চালিকা-সাংবাদিক ক্রিস্টেন ওয়েলকার। প্রথম প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে জো বিডেনের বক্তব্যের সময় বারংবার বাধা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নাম ধরে ডাকা, অপমানসূচক মন্তব্য—বাদ যায়নি কিছুই। যা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল ডেমোক্র্যাট শিবির। শেষ বিতর্কে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি হোক, তা চায় না কমিশন। তাদের দাবি, দুই শিবিরের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু, এই সিদ্ধান্তে তারা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নয়। জনগণের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন ছিল। অবশ্য ন্যাশভিলের বিতর্ক-মঞ্চে ট্রাম্প আর ক্লিভল্যান্ডের ভুল করবেন না বলে মত রিপাবলিকানদের। তাদের আশা, চূড়ান্ত বিতর্কে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট সংযত থাকবেন। বিডেনকে বাধা দিয়ে ডেমোক্র্যাটদের হাতে নতুন প্রচারের ইস্যু তুলে দেবেন না। কোভিড-১৯ মোকাবিলা, মার্কিনিদের পরিবার, বর্ণবিদ্বেষ, জলবায়ু পরিবর্তন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং নেতৃত্ব—ছ’টি বিষয়কে ঘিরে ৯০ মিনিটের এই বিতর্ক। তবে শেষপর্বের তালিকায় থাকছে না ‘বিদেশনীতি’। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রিপাবলিকান শিবির। ট্রাম্পের প্রচারের মূল কাণ্ডারী বিল স্টিফেনের অভিযোগ, বিডেনকে সুবিধা দেওয়ার জন্যই বিতর্কের বিষয় পরিবর্তন করেছে কমিশন। এমনকী, সঞ্চালিকা ক্রিস্টেনও ডেমোক্র্যাট মনোভাবাপন্ন। পাল্টা বিডেন শিবিরের দাবি, করোনা মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট চূড়ান্ত পর্যুদস্ত। তা এড়িয়ে যেতেই বিদেশনীতির প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে। বিডেনের প্রচারসচিব টি জে ডাকলো বলেন, বিতর্কের কী কী বিষয় আলোচনা হবে, তা দুই শিবিরকেই জানানো হয়েছিল। এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
ইস্যু যাই হোক, এই বিতর্কে বিদায়ী প্রেসিডেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁদের মতে, দেশব্যাপী সমীক্ষায় ১১ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন বিডেন। একের পর এক ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেটেও জোরালো হচ্ছে নীল হাওয়া। শেষ বিতর্কে বাজিমাৎ করা ছাড়া ট্রাম্পের সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা নেই।
ওস্তাদ ট্রাম্পের মার বৃহস্পতিবার রাতেই কি না, দেখতে উৎসুক মার্কিনিরা। অপেক্ষায় রিপাবলিকানরাও। আপাতত তাঁদের ‘ফিঙ্গার ক্রসড’!
অ্যারিজোনা প্রদেশের টাকসনে নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প।-পিটিআই