বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব সামলেছেন মাত্র বছর খানেক। এই অল্প সময়ের মধ্যেই প্রবাসী ভারতীয়দের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। ইন্দো-মার্কিন আইনজীবী রবি বাত্রা বলেন, রাষ্ট্রদূত শ্রিংলা হলেন সর্বক্ষণের কূটনীতিক। চিরাচরিত কূটনীতিকদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। বাত্রার এই উপলব্ধি মোটেও অতিরঞ্জিত নয়। ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে শ্রিংলা ওয়াশিংটন আসেন ২০১৯ সালের ৯ জানুয়ারি। পৌঁছনো মাত্র বড় সঙ্কটের সামনে পড়েন। ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির টোপ দিয়ে আমেরিকায় আনা হয়েছিল বহু ভারতীয় পড়ুয়াকে। ভিসা র্যা কেটের বিরুদ্ধে অভিযানে এই পড়ুয়াদের গ্রেপ্তার হতে হয়। আমেরিকায় বিভিন্ন জায়গায় গ্রেপ্তার হন এই ভারতীয় পড়ুয়ারা। কাল বিলম্ব করেননি শ্রিংলা। ধৃত পড়ুয়াদের সঙ্গে যাতে ভারতীয় আধিকারিকরা সাক্ষাৎ করতে পারেন, তাঁরা যাতে কূটনৈতিক সহায়তা পান, তা নিশ্চিত করেন তিনি। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই পড়ুয়াদের একটা বড় অংশকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে সফল হন তিনি। বাকিদের আমেরিকাতেই স্বীকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তির সুযোগ করে দেন। আমেরিকায় জয়পুর ফুট-এর প্রধান প্রেম ভাণ্ডারী শ্রিংলা সম্পর্কে বলেন, তিনি মানুষের রাষ্ট্রদূত। সাধারণত রাষ্ট্রদূতদের কাছে সময় পাওয়াটা কঠিন ব্যাপার। কিন্তু তাঁর সঙ্গে যে কোনও সময় যোগাযোগের সুযোগ মিলত। শুধু তাই নয়, যে কোনও ইস্যুর সমাধান করতেন দ্রুততার সঙ্গে। ৫৭ বছর বয়সি এই কূটনীতিকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আরও এক অনাবাসী ভারতীয় জয় ভাণ্ডারী। তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ে মার্কিন কর্তাব্যক্তি, সরকার ও ভারতীয় বসবাসকারীদের মন জয় করে নেন শ্রিংলা। বন্ধুত্বপূর্ণ ও সরল ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
বছর খানেকের স্বল্প মেয়াদে ১৬০ জনেরও বেশি মার্কিন আইনপ্রণেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শ্রিংলা। ইন্দো-মার্কিনদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে এইচ-১বি ভিসা ও গ্রিন কার্ডের মতো ইস্যুগুলি তুলে ধরেন। ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা খারিজ হওয়ার পর অক্লান্ত পরিশ্রম করতে হয় তাঁকে। শীর্ষ মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরেন তিনি। কাশ্মীর, নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসির মতো ইস্যুগুলিতে ভারতের অবস্থান জোরালো কণ্ঠে তুলে ধরেন। পাশাপাশি মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মজয়ন্তী, গুরু নানকদেবের ৫৫০তম জন্মজয়ন্তী পালনের অনুষ্ঠানের কারিগর ছিলেন তিনিই। একই সঙ্গে হাউডি মোদির আয়োজন, এস-৪০০ ও বাণিজ্য শুল্কের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলিতেও নেপথ্যের নায়ক শ্রিংলাই।