হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর জলবায়ু নীতি ঠেকাতে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। গত আড়াই বছরে ১৫৪টি মামলা পর্যালোচনা করে ব্রিটিশ সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আদালতে চ্যালেঞ্জ করা ট্রাম্পের কোনও জলবায়ু নীতি শেষ পর্যন্ত টিকে থাকেনি। চার বছর আগে পাকিস্তানে এক যুগান্তকারী মামলায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যর্থতার জন্য মানবাধিকার ইস্যুতে মামলা দায়ের করার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির দক্ষিণ পাঞ্জাবের কৃষক আসগার লেগারি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় তিনি দাবি করেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা করতে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে জল। খাবার, জ্বালানির নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে তার দেশের নেতারা। আদালত ওই কৃষকের পক্ষে রায় দেয়। এর মামলার কারণেই দেশটিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন কমিশন। নেদারল্যান্ডসে আরজেন্ডা ফাউন্ডেশন সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে কার্বণ নিঃসরণ লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনায় সাফল্য পায়। ওই মামলার রায় এখন আপিলের ফলাফলের অপেক্ষায় রয়েছে। বায়ুদূষণের অবৈধ মাত্রা নিয়ন্ত্রণে ব্রিটেনের সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে একাধিকবার আদালতে জয় পেয়েছে ক্লায়েন্ট আর্থ নামে একটি সংস্থা। চলতি বছরের মে মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিটির কাছে একটি আবেদন জমা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলের টরেস উপত্যকার দ্বীপে বসবাসকারী আট ব্যক্তি। ওই আবেদনে অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানো এবং দ্বীপের বাসিন্দাদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে উপকূল রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।