আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
এনডিএ-র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন ওম বিড়লা। যিনি গতবারও স্পিকার ছিলেন। কিন্তু এবার তাঁকে নির্বাচনে জিতেই আসতে হবে। অন্যদিকে, এই পদে বিরোধীদের পছন্দ কংগ্রেস সাংসদ কে সুরেশকেই। তিনিও আজ মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর ফলে তৈরি হল ইতিহাসও। কারণ স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার লোকসভা স্পিকার পদে নির্বাচন হতে চলেছে। প্রাথমিকভাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন যে বিরোধীদের যদি ডেপুটি স্পিকারের পদ ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে স্পিকার পদে নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা হল না। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের মাধ্যমেই নির্ধারিত হবে যে কে অষ্টদশ লোকসভার স্পিকারের কুর্সিতে বসবেন। আগামীকাল বুধবার সংসদে সকাল ১১টায় বসবে এই ভোটাভুটির আসর।
ইতিহাস বলছে, এতদিন সাধারণত লোকসভা স্পিকার নির্বাচিত হয়েছেন বিরোধিতা ছাড়াই। গত দু’বার সেভাবেই লোকসভার স্পিকার হয়েছিলেন ওম বিড়লা। যদিও এবার ভোটভাগ্যে শক্তিশালী বিরোধী জোট। অন্যদিকে শরিক নির্ভরতায় অস্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। ফলে ডেপুটি স্পিকার পদ পাওয়ার শর্তে ওম বিড়লার স্পিকার পদে ফেরায় রাজি ছিল বিরোধীরা। যদিও শাসক শিবির ডেপুটি স্পিকার পদও ছাড়তে চায়নি। এর পরই পালটা স্পিকার পদে মনোনয়ন জমা দিলেন কংগ্রেস নেতা কে সুরেশ।
মঙ্গলবার রাহুল গান্ধী জানান, স্পিকার পদে বিপক্ষের সমর্থন চাইতে মল্লিকার্জুন খার্গেকে সোমবার ফোন করেছিলেন রাজনাথ সিং। তখন সব বিরোধীদের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিরোধীদের ডেপুটি স্পিকার পদ দিতে হবে। এরপর মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত সে বিষয়ে রাজনাথ সিংয়ের তরফে কোনও উত্তর না আসায় কে সুরেশ নমিনেশন ফাইল করেন।