আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
দেশজুড়ে প্রবল প্রতিবাদের চাপে নেট-এর পর ডাক্তারির সর্বভারতীয় পরীক্ষা নিট নিয়েও ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্র। তাই সিবিআই তদন্ত। অথচ, সংখ্যাগরিষ্ঠতার দর্পে গত কয়েক বছরে যাবতীয় অভিযোগ স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল ভারত সরকার। বিরোধীদের কটাক্ষ, সময় কি তাহলে বদলাল? রবিবার থেকেই ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের’ বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। এর আগে ইউজিসি-নেটে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় সেই পরীক্ষা বাতিল করে সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রক। শনিবার নিটের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ’র ডিজি সুবোধকুমার সিংকে অপসারিত করা হয়। কিন্তু তাতেও বহু প্রশ্নের উত্তর মেলেনি। নিয়ম ভেঙে গ্রেস মার্কস কেন? টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে কী? অনিয়মে কোন স্তর পর্যন্ত মাথারা জড়িত? এনটিএ’র ভূমিকা কতটা গুরুতর?
সূত্রের খবর, নিট নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যে দায়ের হওয়া মামলাগুলিকে এক জায়গায় আনছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। পাশাপাশি এখনও পর্যন্ত প্রশ্ন ফাঁস সংক্রান্ত অভিযোগে ধৃতদের প্রত্যেককে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করেছে তারা। উল্লেখযোগ্য, এই ডামাডোলের মধ্যে নতুন করে জড়িয়ে গিয়েছে মহারাষ্ট্রের নাম। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মহারাষ্ট্রের দুই শিক্ষক সঞ্জয় তুকারাম যাদব ও জলিল উমরখান পাঠানকে আটক করেছে মহারাষ্ট্র এটিএসের নানদেদ শাখা। পুলিস সূত্রে খবর, দু’জনই জেলা পরিষদের স্কুলে শিক্ষকতার পাশাপশি লাতুরে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার চালান। প্রশ্ন ফাঁসে তাঁদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে টানা কয়েক ঘণ্টা জেরা চালায় এটিএস। দু’জনকে আপাতত ছেড়ে দেওয়া হলেও যে কোনও সময় তাঁদের ফের জেরার জন্য ডাকা হবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে। কারণ, প্রতিদিন এই দুর্নীতি ইস্যু নতুন নতুন মোড় নিচ্ছে। সেই সুযোগে কোমর বেঁধে নামছে বিরোধীরাও। এখন কিন্তু আর লোকসভায় তারা ‘দুর্বল’ নয়। আর তাই মহাজোট ‘ইন্ডিয়া’র পক্ষ থেকেই এনডিএ সরকারকে চেপে ধরার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এক্স হ্যান্ডলে অভিযোগ করেছেন, ‘বিজেপির আমলে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা মাফিয়া ও দুর্নীতিবাজদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। দেশের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ অযোগ্যদের উপহার দেওয়া, পরীক্ষা বাতিল, ক্যাম্পাস থেকে পঠনপাঠনের বিলুপ্তি ও রাজনৈতিক গুন্ডামি শিক্ষাব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ প্রিয়াঙ্কার আরও অভিযোগ, ‘পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে যে, বিজেপি সরকার পরিচ্ছন্নভাবে একটা পরীক্ষাও নিতে পারছে না। দেশের দক্ষ যুব সমাজ বিজেপির দুর্নীতির জন্য তাদের মূল্যবান সময় ও এবং শক্তি নষ্ট করছে, আর মোদিজি শুধু শো দেখছেন।’ কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেন, ‘কোনওভাবেই এই সরকারকে আর সংসদে বিরোধীদের উপর বুলডোজার চালাতে দেব না। প্রশ্ন ফাঁস ইস্যুতে সরকারকে কোণঠাসা করা হবে।’