আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
পিএফে যে টাকা জমা হয়, তার একটা অংশ চলে যায় পেনশন ফান্ডে। একে বলা হয় এমপ্লয়িজ পেনশন স্কিম বা ইপিএস। এই ফান্ডে জমা টাকার উপর ভিত্তি করে পেনশন পেয়ে থাকেন পিএফ গ্রাহক। তবে শর্ত একটাই, টাকা তোলার জন্য চাকরির মেয়াদ ১০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। ১০ বছর পেরিয়ে গেলে পেনশন ফান্ডের উপর অধিকার থাকে না গ্রাহকের। চাকরি জীবনের শেষে ওই টাকা মাসে মাসে পেনশন হিসেবে পাওয়া যায়। কিন্তু ১০ বছরের আগে যদি কেউ টাকা তুলে নিতে চান, সেই সুযোগ তাঁকে দেয় কেন্দ্র। তবে তিনি কত টাকা পাবেন, তার হিসেবের জন্য নির্দিষ্ট ফর্মুলা ধার্য রয়েছে।
কী সেই ফর্মুলা? কেন্দ্রীয় সরকার একটি টেবিল বা তালিকা প্রকাশ করে। সেখানে ১ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত সময়ে গ্রাহক কবে টাকা তুলছেন, তার উপর নির্ভর করে একটি গুণিতকের তালিকা প্রকাশ করা হয়। মূল বেতনের সঙ্গে ওই অঙ্ক গুণ করে সেই টাকা পান গ্রাহক। আগে প্রতি বছরের জন্য আলাদা আলাদা গুণিতক ছিল। অর্থাৎ, কেউ যদি ৫ বছর ৩ মাস চাকরি করার পর টাকা তুলতে চাইতেন, ৫ বছরের গুণিতকের হিসেবে পেনশন ফান্ডের টাকা তিনি তুলতে পারতেন। নয়া নিয়মে সেই হিসেবই বদলে যাচ্ছে। এখন গুণিতক মাসের হিসেবে। অর্থাৎ, যেদিন গ্রাহক টাকা তুলছেন, সেই দিন তাঁর মূল বেতন যা হবে, তার সঙ্গে গুণিতকটির গুণফলের সম পরিমাণ টাকা অ্যাকাউন্টে আসবে। সোজা কথায়, নিজের উপার্জন ও পরিশ্রমের টাকা চোখের সামনে আর জলে যেতে দেখবেন না তিনি।
হিসেবটি সহজ করা যাক। ধরা যাক, কেউ চার বছর কাজ করে চাকরি ছাড়ছেন। সেই সময় তাঁর মূল বেতন ছিল ১০ হাজার টাকা। চার বছরের জন্য কেন্দ্রের স্থির করা গুণিতকটি হল ৩.৯৯। এক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি পাবেন ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা। ধরা যাক কেউ ৬ বছর ৪ মাস চাকরি করেছেন। তাঁর হিসেব কত হবে? পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, ‘ভাঙা’ বছরে চাকরির মেয়াদ ছ’মাসের কম হলে, তার গুণিতক আগের বছর অনুযায়ী হতো। অর্থাৎ, ৬ বছরে ৬.০৭ গুণিতকের হিসেবে তাঁর প্রাপ্য ছিল ৬০ হাজার ৭০০ টাকা। তবে গ্রাহক ৬ বছর ৮ মাস চাকরি করলে, তাঁর গুণিতক কিন্তু ধরা হবে ৭ বছরের। সেক্ষেত্রে ৭.১৩ হিসেবে তাঁর প্রাপ্য হতো ৭১ হাজার ৩০০ টাকা। নয়া নিয়মে আর সেই প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির সুযোগ নেই। কারণ, এখন গুণিতক প্রতি মাসের হিসেবে। তাই ৬ বছর ৮ মাসের গুণিতক ৬.৭৮। আর প্রাপ্য? ৬৭ হাজার ৮০০ টাকা। যদি মেয়াদ ৬ বছর ৪ মাস হয়, তাহলে গুণিতক ৬.৪২। এক্ষেত্রে প্রাপ্য ৬৪ হাজার ২০০ টাকা। হিসেব থেকে বোঝা যাচ্ছে, নয়া নিয়মে ৬ বছর ৪ মাস চাকরি করলে আগের তুলনায় প্রাপ্য বাড়ছে গ্রাহকের।