যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
গত বছর ৩ অক্টোবর প্রবীর ও নিউজক্লিক সংস্থার এইচ আর হেড অমিত চক্রবর্তীকে গ্রেপ্তার করেছিল দিল্লি পুলিসের স্পেশাল সেল। চীনের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেশের সার্বভৌমত্ব খর্ব করার চেষ্টার অভিযোগ করা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে। এর কিছুদিন আগেই নিউ ইয়র্ক টাইমস একটি তদন্তমূলক রিপোর্টে দাবি করে, চীনের হয়ে অপপ্রচারের কাজ চালাচ্ছে একটি নেটওয়ার্ক। সেই নেটওয়ার্কের কাছে টাকা নিয়েছে নিউজক্লিক। এই কাণ্ডে নাম জড়ায় সাংহাইয়ের ব্যবসায়ী নেভিল রায় সিংহমেরও। পরে এই মামলায় পরে রাজসাক্ষী হয়ে যান ধৃত অমিত চক্রবর্তী। চার্জশিটে ‘সাক্ষী’ হিসেবে তাঁর নাম ছিল। ৬ মে অমিতকে মুক্তির নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
এদিন প্রবীরের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন প্রবীণ আইনজীবী কপিল সিবাল। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার করার পরদিন সকাল ৬টায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয় নিউজক্লিকের প্রতিষ্ঠাতাকে। সেই সময় শুধু লিগ্যাল এইডের আইনজীবী ও অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। ধৃতের আইনজীবীকে কিছু জানানোই হয়নি। প্রবীর এর প্রতিবাদ করায় শেষ পর্যন্ত তাঁর আইনজীবীকে ফোন করেন তদন্তকারী অফিসার। রিম্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন পাঠান হোয়াটসঅ্যাপ করে। একথা শুনে সুপ্রিম কোর্ট বলে, বিচারের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রিম্যান্ডের নির্দেশ জারি হওয়ার সময় প্রবীরের আইনজীবীর উপস্থিত থাকাটা আবশ্যিক। আর সেই সূত্রেই নিউজক্লিক কর্তার গ্রেপ্তারিকে বেআইনি আখ্যা দিয়ে তাঁকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।