মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের বিরোধিতা করে আগামীকাল এর কপিও পোড়াবেন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আগামী ৮ জানুয়ারিই দেশজোড়া সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলিও। আগামী জানুয়ারি মাসেই শিক্ষাক্ষেত্রে অচলাবস্থার প্রতিবাদে সম্মিলিতভাবে একটি সমাবেশেরও আয়োজন করবে ছাত্র সংগঠনগুলি। এদিন দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের সভানেত্রী এসএফআইয়ের ঐশী ঘোষ বলেন, ‘হস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে গত প্রায় ৪৫ দিন ধরে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন করছি। পথে নেমে পুলিশের লাঠিও খেয়েছি। আমরা বুঝতে পেরেছি, এটি শুধুমাত্র জেএনইউয়ের লড়াই নয়। দেশের সর্বত্র এই আন্দোলনের প্রয়োজন। তাই এরকম একটি সম্মিলিত মঞ্চ তৈরি করা হল। একসঙ্গে প্রতিবাদ আন্দোলন হলে সমস্যার সমাধান হবেই।’ যদিও অবিজেপি দলের ছাত্র সংগঠনগুলি মোদি বিরোধিতায় জোট বাঁধলেও এক্ষেত্রে ডাকা হয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র শাখা টিএমসিপিকে। এ ব্যাপারে এসএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস বলেন, ‘বিজেপি এবং তৃণমূল একই মুদ্রার এপিঠ, ওপিঠ। কাজেই বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনকে আহ্বান জানানোর কোনও প্রশ্নই নেই।’
অন্যদিকে আজ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সিপিএম অভিযোগ করেছে, বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবার ক্রমশ সাধারণ মানুষের মানবাধিকার হরণ করছে। দেশের মানুষের উপর আক্রমণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রতিবাদে এদিন দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্না অবস্থান কর্মসূচিও পালন করে সিপিএম। তাতে অংশ নিয়ে দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা সিপিএমের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য প্রকাশ কারাত বলেন, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এসে কেন্দ্র দেশে সাম্প্রদায়িক বিভাজন করতে চাইছে। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধির মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থেকে সাধারণ মানুষের নজর ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি।’