উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এডিআর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধনীতম তিন জয়ী প্রার্থীই কংগ্রেসের সদস্য। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ছেলে তথা ছিন্দওয়াড়া কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী নকুল নাথ। ৩৭ হাজার ৫৩৬টি ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন ৬৬০ কোটি টাকার সম্পত্তির এই মালিক। তারপরেই রয়েছেন কন্যাকুমারী লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী বসন্তকুমার এইচ। ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৩৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন ৪১৭ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। তৃতীয় ধনী প্রার্থী হিসেবে বেঙ্গালুরু গ্রামীণ আসনে ২ লক্ষ ৬ হাজার ৮৭০ ভোটে জিতেছেন ৩৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক কংগ্রেসের ডি কে সুরেশ। জয় পেয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের দুই ধনীতম প্রার্থী কানুমুরু রঘুরাম কৃষ্ণ রাজা (ওয়াইএসআর) এবং জয় দেব গাল্লা (টিডিপি)। রাজার সম্পত্তির পরিমাণ ৩২৫ কোটি টাকা এবং গাল্লার ৩০৫ কোটি টাকা। এবার দেশের ধনীতম প্রার্থী ছিলেন বিহারের পাটলিপুত্র কেন্দ্র থেকে নির্দল হিসেবে লড়া রমেশ কুমার শর্মা। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ১ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। কিন্তু মাত্র ১ হাজার ৫৫৬টি ভোট পান তিনি। ফলে তাঁর জামানত জব্দ হয়। বড় ব্যবধানে হেরে যান মধ্যপ্রদেশের গুনা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। ৩৭৪ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক সিন্ধিয়াকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার ৫৪৯ ভোটের ব্যবধানে হারান বিজেপির কৃষ্ণ পাল সিং। পরাজিত হন বিহারের পূর্ণিয়ার কংগ্রেস প্রার্থী তথা ৩৪১ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক উদয় সিংও। তেলেঙ্গানার চেভেল্লা আসন থেকে লড়াই করেও ১৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে হেরে যান কংগ্রেসের কোন্ডা বিশ্বেশ্বর রেড্ডি। অ্যাপোলো গোষ্ঠীর চেয়ারম্যানের জামাই বিশ্বেশ্বর এবারের নির্বাচনে দেশের দ্বিতীয় ধনীতম প্রার্থী। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৯৫ কোটি টাকা। ৮ হাজার ৭২৬ ভোটে হেরে গিয়েছেন অন্ধ্রের বিজয়ওয়াড়া কেন্দ্রের ওয়াইএসআর কংগ্রেস প্রার্থী তথা ৩৪৭ কোটি টাকার মালিক বীরা পোটলুরিও।
এডিআর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের গড় সম্পত্তির পরিমাণ ২০ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। ২৬৬ জন জয়ী প্রার্থীর সম্পত্তির পরিমাণ ৫ কোটি বা তার বেশি। ২০০৯ ও ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে যথাক্রমে ৩১৫ জন (৫৮ শতাংশ) ও ৪৪৩ জন (৮২ শতাংশ) কোটিপতি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন।