আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
রাঙাপানিতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার পর অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় মামলা রুজু সহ তদন্ত শুরু করেছে রেল পুলিস। রেলওয়ে সেফটি কমিশনারের সঙ্গেই দুর্ঘটনার কারণ আলাদাভাবে খতিয়ে দেখছে রাজ্য। তদন্তের শুরুতেই রেলের তরফে সমস্তরকম সহযোগিতা চেয়ে ডিআরএম কাটিহারকে চিঠি দিয়েছেন কর্তারা। তাতে বলা হয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে রেলের বিভাগীয় অফিসার ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন রেল পুলিসের অফিসাররা। বিভিন্ন নথি ও তথ্য-প্রমাণ জোগাড়ের দরকার পড়বে। পুলিস গেলে রেলের কর্মী-অফিসাররা যেন কোনও অজুহাত যাতে খাড়া না করেন, সেটিও নিশ্চিত করতে বলেছেন জিআরপি কর্তারা।
রাঙাপানির স্টেশন মাস্টারের ভূমিকা এখন আতসকাচের তলায়। তদন্তকারীরা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছেন, সাধারণত দুটি সিগন্যাল পেরলেই পিছনের ট্রেন আসার ছাড়পত্র মেলে। তাঁরা রাঙাপানি থেকে পরের স্টেশন পর্যন্ত কতগুলি সিগন্যাল রয়েছে, প্রহরীযুক্ত লেভেল ক্রসিংয়ের সংখ্যা কত, কতগুলি পয়েন্টার ও কেবিন রুম রয়েছে তার তালিকা তৈরি করেছেন। তার ভিত্তিতে সেখানে ঘটনার সময় ডিউটিরত সকলকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হচ্ছে। তাঁদের কাছে রেল পুলিসের অফিসাররা জানতে চাইবেন, সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল। রাঙাপানির আগের ও পরের স্টেশনের মাস্টারকেও তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে। দু’জনের সঙ্গে রাঙাপানির স্টেশন মাস্টারের কী কথা হয়েছিল, জানতে চাওয়া হবে। একইসঙ্গে ঘটনার পর রাঙাপানির স্টেশন কর্তৃপক্ষ কাদের ফোন করেছিলেন এবং সিগন্যাল খারাপ রয়েছে এই বিষয়টি কাদের জানিয়েছিলেন, সেটি খুঁজে পেতে তাঁর কল ডিটেইলস বের করা হয়েছে বলে খবর। শুধু নিচুতলার রেলকর্মীরাই নন, শীর্ষকর্তাদের ভূমিকাও সিট খতিয়ে দেখছে। সিগন্যাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা এখানকার সিগন্যালে আগে থেকে ত্রুটি রয়েছে, এই সংক্রান্ত কোনও রিপোর্ট দিয়েছিলেন কি না, সেই নথিও জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছেন জিআরপির অফিসাররা। যদি কেউ নথি দিতে বা তথ্য জানাতে না চান, তাহলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে আদালত থেকে অনুমতি নিয়ে তাঁকে ডেকে নথি জমা দিতে বলবেন রেল পুলিস কর্তারা।