সপরিবারে অদূরবর্তী স্থানে ভ্রমণে আনন্দলাভ। কাজকর্মে কমবেশি ভালো। সাহিত্যচর্চায় আনন্দ। ... বিশদ
এদিন অভিষেক বলেন, নেংটি ইঁদুরকে দৈব শক্তি প্রয়োগ করে বিড়াল, কুকুর ও বাঘ বানিয়েছিলেন এক সাধু বাবা। বাঘ সেই সাধু বাবাকে খেতে চেয়েছিল। তাই তাকে আবার নেংটি ইঁদুরে পরিণত করেছিলেন। বিজেপি আপনাদের ভাতের খাবার মারতে এসেছে। মানুষকে মারতে এসেছে। সংবিধান বদলাতে চাইছে। এবার যদি আপনারা নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে বিজেপিকে নেংটি ইঁদুরে পরিণত না করেন, যেভাবে পাঁচ বছর ধরে সব কেড়ে নিয়েছে, একইভাবে আগামীদিন আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বাড়ি, জল, কল সবকিছু নিয়ে দিল্লি চলে যাবে। আগামী ২৫ মে ষষ্ঠ দফায় বাঁকুড়ায় ভোট। পাঁচ দফায় বিজেপি ভালো করছে না বলেও দাবি করেন অভিষেক।
তিনি বলেন, বাঁকুড়া থেকে এবার দু’জন প্রাক্তন হতে চলেছেন। একজন সুভাষ সরকার। আর একজন অরূপ চক্রবর্তী। অরূপ সাংসদ হয়ে প্রাক্তন বিধায়ক হবেন। ৪ জুন বিজেপির নেতারা চোখে পদ্মফুলের পরিবর্তে যেন সর্ষে ফুল দেখে। সেইজন্য আপনারা মাথা উঁচু করে জোড়াফুলে ভোট দেবেন। আমি বাঁকুড়ায় বিজয় মিছিল করতে আসব।
অভিষেক বলেন, বিজেপি আপনাকে পাঁচ বছর বঞ্চিত, লাঞ্ছিত, শোষিত করে রেখেছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় হেরে যাওয়ার পর দশ পয়সা বাড়ির জন্য দেয়নি। ২০১৭-১৮ সালের আবাসের তালিকা অনুযায়ী যদি প্রমাণ করতে পারে ১০ পয়সা দিয়েছে, আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়িয়েছে। সেই ওষুধ কোম্পানিগুলোর থেকে কোটি কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ড নিয়েছে এই বিজেপি। তাই ২৫ মে এক কোপে এদের ছেঁটে ফেলবেন। এটা প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিশোধের ভোট। অভিষেক বলেন, বাঁকুড়ায় ১৫ বছর আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী সন্ত্রাস, সিপিএমের অত্যাচার ৩৬৫ দিন চলত। আমাদের সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে প্রায় তিন লক্ষ বাড়িতে জল পৌঁছে দিয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে ১০০ শতাংশ নলবাহিত পানীয় জলের ব্যবস্থা করে দেব।