যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
এখানকার ইউরোলজির প্রধান ডাঃ তপনকুমার মণ্ডল বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্বে প্রথম এই পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হয়। ইউএসএফডিএস-সহ বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার ছাড়পত্র আসতে পারে। এবছর চালু হয় ভারতে। এনআরএসের আগে দেশের দু’টিমাত্র চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান নয়া পদ্ধতিতে কাজ শুরু করেছে। তবে সে-দু’টি ছিল বেসরকারি হাসপাতাল। তাদের কাছে সবসুদ্ধ ৩৮টি এমন প্রসিডিওর হয়েছে। এনআরএসের দাবি, সারা দেশের সরকারি ক্ষেত্রে তারাই প্রথম এই পদ্ধতির প্রয়োগ করল।
সূত্রের খবর, মানবদেহের প্রস্টেট গ্ল্যান্ডের ওজন ২০-২৫ গ্রাম। এই গ্রন্থির আকার বেড়ে অনেকেরই বিপদ বাড়ায়। যেমন—১. ইউরিন বা প্রস্রাব বেরনো বন্ধ হওয়া ২. ইউরিন স্বাভাবিকভাবে না বেরনো ৩. ইউরিন ধরে রাখতে না পারা ৪. প্রস্রাবের জায়গায় জ্বালা করা, ব্যথা করা এবং হেমাচুরিয়া বা রক্তপাত হওয়া। অপারেশন ও প্রসিডিওরের প্রচলিত পদ্ধতি দু’টি। একটি টিইউআরপি বা ট্রান্স ইউরেথ্রাল রিসেকশন অব দ্য প্রস্টেট। এক্ষেত্রে বর্ধিত প্রস্টেট কেটে বের করা হয়। দ্বিতীয়টি লেজার। চিকিৎসকদের দাবি, নয়া পদ্ধতি অনেক নির্ঝঞ্ঝাট। ডে কেয়ারেই অপারেশন করা সম্ভব। অপারেশনের ১০ মিনিট পরই রোগীকে ছুটি দেওয়া যেতে পারে।
বুধবার দুপুরে প্রসিডিওর শুরু হয়। সিস্টোস্কপ দিয়ে দেখে একজনের ক্ষেত্রে সাতটি জায়গায়, অন্যজনের আট জায়গায় স্টিম দেওয়া শুরু হয়। এক-একবার ৯ সেকেন্ড ধরে স্টিম চলে। ৫ মিনিটেই কাজ শেষ।