যে কোনও ব্যবসায় অগ্রগতি আশা করা যায়। মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভদের কর্মের প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা হতে ... বিশদ
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, রানিগঞ্জে লোকসভা ভোটের প্রচারে একে কয়লা মাফিয়ার হাত থেকে সংবর্ধনা নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই লালাও বুঝে গিয়েছে তাঁর কিছু হবে না। সেই কারণেই তিনি আত্মসমর্পণের সাহস দেখিয়েছেন।
অন্যদিকে বিজেপি জেলা সহ সভাপতি প্রশান্ত চক্রবর্তী বলেন, কয়লা পাচার নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বলা কোনও মুখ আছে? ওদের দলের মাথা থেকে নিচুতলার কর্মীরা এর সঙ্গে যুক্ত। লালা আত্মসমর্পণে তাঁদের রক্তচাপ বাড়ছে কেন?
সিপিএম জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ড নিয়ে সিবিআইয়ের তদন্ত তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির গটআপ যুদ্ধ।
সোমবার লোকসভা ভোট হয় আসানসোলে। মঙ্গলবার সাত সকালে সবাই যখন হালকা মেজাজে, তখনই লালা আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে হাজির হয় জামিন নিতে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই কয়লা অঞ্চল জুড়ে শোরগোল পড়ে। যাঁকে নিয়ে প্রায় চার বছর ধরে তদন্ত আবর্তিত হয়েছে আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে তিনি এলেন আত্মসমর্পণ করতে। যদিও সুপ্রিম কোটের রক্ষাকবচকে কাজে লাগিয়ে সেদিনই জামিন পেয়ে যান তিনি। বিচারক জানতে চান, কোন ঠিকানায় তিনি থাকবেন। প্রথমে তাঁর আইনজীবী বলেন, সল্টলেকে। বিচারক তখন জানান, কলকাতা জেলার বাইরে গেলে তাঁকে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। তখনই লালা বলে ওঠেন, মা থাকেন পুরুলিয়ায়। বিচারক স্পষ্ট বলেন, কলকাতা থেকে পুরুলিয়া স্বাধীনভাবে ঘোরার ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। তারপর পুরুলিয়ায় নিতুড়িয়া থানার মধ্যেই তাঁকে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিচারক প্রশ্ন তুলেছিলেন, তিন বছর আগে লালাকে রক্ষাকবচ দেওয়ার রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। সেই রায়ের খারিজ বা পরিবর্তন করার কোনও আবেদন করতে দেখা যায়নি সিবিআইকে। কেন লালার প্রতি দুর্বল ছিল সিবিআই ভোটের মুখে সেই প্রশ্ন বড় করে সামনে আসছে। তাই সিবিআই এবার পিঠ বাঁচাতে লালার জামিনের বিরোধিতা করে হাইকোর্টে যাবে বলে জানা গিয়েছে।