কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
জানা গিয়েছে, প্রায় ছ’দশক ধরে কয়লা উত্তোলন করার পরও এখানে সঞ্চিত রয়েছে ৭২ মিনিয়ন টন অতি উন্নত মানের সেমি কুকিং কোল। যার বাজার মূল্য বহু। তাই এই বিপুল কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা কষছে সিএমপিডিআই। এরপরই গ্লোবাল টেন্ডার করে কয়লা উত্তোলনের বরাত তুলে দেওয়া হবে। বিদেশি সংস্থাও তার বরাত পেতে পারে। প্রায় সাত বছর পর বন্ধ কোলিয়ারি চালুর উদ্যোগ শুরু হওয়ায় কোলিয়ারি এলাকায় এখন সাজসাজ রব। অফিস থেকে কোলিয়ারির বিস্তারিত তথ্য ফাইল বন্দি হয়ে যাচ্ছে সিএমপিডিআই অফিসে। কোলিয়ারির জল তোলার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গা থেকে যে সব কয়লার চাঁই ঝরে পড়েছে তা তোলার কাজও চলছে। তবে কর্মীদের মধ্যে কোথাও যেন একটা কষ্ট চেপে বসেছে। এতদিন তো তাঁরাই এই গভীর খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করেছেন। প্রযুক্তি আরও আধুনিক করে ইসিএল নিজেই যদি এই কয়লা উত্তোলনের উদ্যোগ নিত তাহলে সংস্থার মর্যাদাও বাড়ত। আত্মনির্ভর ভারতেই বড় দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াত বর্তমানে দেশের এই গভীরতম খনি। এমনটাই মত তাঁদের।
জানা গিয়েছে, স্বাধীনতার আগে থেকেই তৎকালীন বেঙ্গল কোল কোম্পানি চিনাকুড়িতে কয়লা উত্তোলনের পরিকল্পনা করে। এখানকার কয়লা অত্যন্ত গভীরে থাকলেও তার গুণমাণ ছিল ঈর্শনীয়। তৎকালীন বাংলার কয়লা কারবারিরা অত্যন্ত উন্নত মানের শ্যাফ্ট খনন শুরু করেন ১৯৪৫ সাল নাগাদ। শ্যাফ্টের মাধ্যমেই ডুলি নামে। প্রায় ১০ বছর ধরে খনন করে ৬১৩ মিটার গভীর শ্যাফ্ট খননের কাজ শেষ হয়। যা তখন এশিয়ার গভীরতম শ্যাফ্ট। এবার সেখানে শ্রমিক নামিয়ে শুরু হয় কয়লা উত্তোলন। কয়লা কেটে কেটে তা মাটি থেকে আরও প্রায় দেড়শো মিটার গভীরে চলে গিয়েছে। কয়লা কাটতে কাটতে তা দামোদর নদীর তলদেশ পার করে পুরুলিয়া জেলাতেও প্রবেশ করেছে। চিনাকুড়ি ১, ২ কোলিয়ারির এরিয়া ২ হাজার ৩১ হেক্টরেরও বেশি। বিভিন্ন সময় এই খনি উৎসাহী মানুষের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। এখন সেই আমলের শ্যাফ্ট দিয়েই ডুলি নামে। সেই সময় ভারত বিশ্বকে দেখিয়েছিল কীভাবে গভীরতম স্থান থেকেও কয়লা তুলে আনা যায়। লং ওয়াল মাইনিংয়ের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন হয়। কিন্তু ফের যখন কয়লা উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তখন আর সরকারিভাবে নয়, বেসরকারি হাতেই যেতে চলেছে উৎপাদনের ভার। কেন সরকারি মাইনিং প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করে, যন্ত্রপাতি আধুনিক মানের করে নিজেদের এই গৌরবোজ্জল ইতিহাসকে পুনরুদ্ধার করছে না ইসিএল? এনিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এনিয়ে ইসিএলের মুখপাত্র নীলাদ্রি রায়কে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।