কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
সোমবার রাত থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় দুর্যোগ কার্যত জাঁকিয়ে বসে। এক নাগাড়ে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার জেরে শৈলশহরে পুজোর ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া বহু পর্যটক বিপাকে পড়েছেন। খারাপ আবহাওয়ার জেরে বাগডোগরা বিমানবন্দরের পরিষেবা ব্যাহত হয়। কলকাতা ও বাগডোগরার মধ্যে চলাচলকারী মোট চারটি বিমান বাতিল করতে হয়। বেঙ্গালুরু থেকে বাগডোগরাগামী একটি বিমানের অবতরণ বাতিল করতে হয় এই কারণে। সেটিকে কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামানো হয়। গুয়াহাটি থেকে আসা একটি বিমানকেও বাগডোগরার বদলে কলকাতায় নামাতে হয়। সব মিলিয়ে যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
ভারী বৃষ্টির জেরে পাহাড়ে ভূমি ধসের সতর্কতা আগেই জারি করা হয়েছিল। আশঙ্কা সত্যি করে মঙ্গলবারই ধসের ঘটনা ঘটে কালিম্পংয়ের তৃতীয় মাইলের কাছে। স্বাস্থ্যদপ্তরের ভাড়া করা একটি গাড়ি ধসের কবলে পড়ে যায়। মৃত্যু হয় সেই গাড়ির চালক কৈলাস বর্মনের (৩৮)। এই ঘটনায় দু’জন স্বাস্থ্যকর্মীও জখম হয়েছেন। দার্জিলিং পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামে। এমনকী রোপওয়ের কাছে ধসের জন্য রাস্তাও বন্ধ করে দিতে হয়।
দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি জেলায় মঙ্গলবারও সারাদিন কখনও ইলশে গুঁড়ি, কখনও মুষলধারে বৃষ্টি চলে। পূর্ব মেদিনীপুরের বন্যা কবলিত এলাকাগুলির পরিস্থিতি এই কারণে আরও খারাপ হয়েছে। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর বাজারও মার খেয়েছে প্রতিকূল পরিবেশের কারণে।