কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
গত রবিবার কোথাও গ্রাহকদের বাড়িতে খাদ্য সরবরাহের জন্য যাওয়া হয়নি বলে দাবি করেছেন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি এখন পরীক্ষামূলকভাবে চলছে। কোথায় সমস্যা হচ্ছে তা খতিয়ে দেখে সংশোধন করার জন্য এটা করা হয়েছে। ডিলারদের নিয়ে যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, আশা করছি, আলোচনাতেই মিটে যাবে।
প্রসঙ্গত, দুয়ারে রেশন প্রকল্পটি চালানোর জন্য রাজ্য সরকার ডিলারদের প্রতি কুইন্টাল খাদ্যশস্যের জন্য ৭৫ টাকা অতিরিক্ত কমিশন দিচ্ছে। খাদ্যশস্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য গাড়ি কিনতে ডিলারদের ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক অনুদান দেবে সরকার। কিন্তু ডিলারদের সংগঠন এতে রাজি নয়। প্রথমে ২০০ টাকা অতিরিক্ত কমিশন দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু এদিনের সম্মেলনে বিশ্বম্ভরবাবু ছাড়াও ফোরামের শীর্ষস্থানীয় নেতা রতন সাউ, নিখিলেশ ঘোষ প্রমুখ জানিয়েছেন, দুয়ারে রেশন কোনওভাবেই চালানো যাচ্ছে না। প্রথম মাসে পাইলট প্রকল্পটি চালাতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সেইসব সমস্যা না মিটিয়েই খাদ্যদপ্তর অক্টোবরে আরও বেশি সংখ্যক ডিলারকে এর আওতায় এনেছে। প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য রীতিমতো চাপ দেওয়া হচ্ছে। এভাবে চাপ দেওয়া হলে ডিলারশিপ ছেড়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে এদিন।
তবে খাদ্যদপ্তর সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্পটি কার্যকর করা থেকে পিছু হটবে না সরকার। প্রথমে আলোচনার ভিত্তিতে সমস্যার মেটানোর চেষ্টা হবে। তাতে কাজ নাহলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাই নেবে। তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে রেশন ডিলার সংগঠনের নেতাদের বৈঠক হতে পারে।