নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
বিজেপি-আরএসএস মনে করছে, এই দলবদলু নেতাদের নিজেদের জনপ্রিয়তা ও যোগ্যতা প্রমাণ করার দায় রয়েছে। একে তো স্রেফ হাওয়া বুঝে দলবদল। তারপর আবার বিজেপি নেতা-কর্মীদের সহায়তায় সহজে জিতে বিধায়ক হওয়ার কথা ভাবলে সামান্য ভুল হবে। কারণ, তাঁদের নেওয়াই হয়েছে সাংগঠনিক শক্তির কথা ভেবে। অর্থাৎ তাঁরা শিবির বদল করায় তৃণমূল দুর্বল এবং বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হবে—এরকম সমীকরণ জরুরি। তাহলেই তাঁদের দলে নেওয়া সার্থক হবে বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই কারণে প্রাথমিকভাবে স্থির হয়েছে, যে কেন্দ্রগুলিতে বিজেপির একক শক্তি, ভোটব্যাঙ্ক এবং সাংগঠনিক ক্ষমতা কম, তার মধ্যে অনেক আসনেই এই দলবদলুদের টিকিট দেওয়া হবে। এর ফলে তাঁদের ব্যক্তিগত শক্তির পরীক্ষাও হবে। আর যে যে আসনে বিজেপি অনায়াসে জয়ী হবে বলে মনে করছে অথবা চিহ্নিত করছে, সেগুলিতে পুরনো একনিষ্ঠ দলীয় নেতা অথবা বিজেপি-আরএসএস ভাবধারায় প্রথম থেকে বিশ্বাসী আদি কর্মীরাই টিকিট পাবেন।
দলের সংসদীয় বোর্ডের বৈঠকের পর বিজেপির প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হবে। দিল্লিতে ওই বৈঠক হওয়ার কথা মার্চের প্রথম সপ্তাহেই। ৭৫ থেকে ৮৫টি কেন্দ্রকে পদ্মশিবির সহজ আসন হিসেবে ধরে রেখেছে। অর্থাৎ সেখানে দলের সংগঠন ও ভোটব্যাঙ্ক গড়ে উঠেছে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা এবং উত্তরবঙ্গের সিংহভাগই এই আসনগুলির আওতায়। বাকি ২০০-র বেশি আসনে লড়াই যথেষ্ট কঠিন বলে মনে করছে বিজেপি। ২০১৬ ও ২০১৯ সালে কোন আসনে ভোট শতাংশ কত ছিল এবং সেই আসনগুলিতে প্রার্থীর পরিচয় কেমন হওয়া উচিত, সে ব্যাপারে দলের পক্ষ থেকে সমীক্ষাও করা হয়েছে।
তবে দলবদলুদের প্রার্থী করা নিয়ে সবথেকে বড় যে আশঙ্কা, সেটি হল অন্তর্ঘাত। তার পিছনে কারণ একটাই—বহুচর্চিত আদি-নব্যের লড়াই। কোনও একটি কেন্দ্রে বিজেপি কর্মীরা এতকাল মাটি কামড়ে লড়াই করে এসেছেন। কিন্তু এবার তাঁদের সুযোগ না দিয়ে আচমকা ভোটের আগে দলে যোগ দেওয়া নেতারা টিকিট পেলে সমস্যা হতে বাধ্য। দলবদলু প্রার্থীকে হারাতে দলেরই একাংশ চক্রান্ত করতে পারে মনে করছে গেরুয়া শিবির। এমনকী গোঁজ প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। এই সমস্যা কাটাতে সর্বজনগ্রাহ্য প্রার্থী বাছাই এই মুহূর্তে সবথেকে কঠিন কাজ।