নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
সম্প্রতি নিগমের বোর্ড বৈঠকে এই ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নিগমের চেয়ারম্যান তথা কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙ্গোয়ার নিজেও এনিয়ে উষ্মা জানান। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে, নির্মীয়মাণ হাসপাতালগুলির কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়টি দেখভাল করতে একটি পরামর্শদাতা সংস্থাকে নিয়োগ করা হবে। নিগমের বোর্ড সদস্য শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও একবাক্যে এই ধরনের এজেন্সি নিয়োগের পক্ষে মত দেন। এজন্য অবশ্য বছরে বেশ কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হবে নিগমের। ইতিমধ্যে নিগম এই ধরনের সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। চুক্তির বিষয়বস্তু ও ফি নিয়ে দর কষাকষির কাজও অনেকটা এগিয়ে রেখেছে তারা। বোর্ডের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ায় এবার সংস্থা বাছাই ও নিয়োগের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে স্বচ্ছতার স্বার্থে এই কাজে কেন্দ্রীয় সরকারি কোনও বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে নিয়োগ করার জন্য সিটু, এআইটিইউসি সহ বিজেপি বিরোধী শ্রমিক সংগঠনগুলি পরামর্শ দিয়েছে বোর্ডের বৈঠকে।
ইএসআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সারা দেশে নিগমের তৈরি করা মোট ১৫৯টি হাসপাতাল চালু রয়েছে। আরও অন্তত ৩০টি হাসপাতালের নির্মাণ চলছে। এই নির্মীয়মাণ প্রকল্পগুলিতে ইতিমধ্যে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে নিগমের তহবিল থেকে। সময়ে নির্মাণ শেষ না হওয়ায় বহু কোটি টাকা বাড়তি খরচ করতে হয়েছে এই খাতে। আগামী এক বছরে হাসপাতাল ও ডিসপেন্সারি নির্মাণের খাতে আরও প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বাজেট সংস্থান করেছে নিগমের বোর্ড। নিগমের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানান, নিগম কেন্দ্রীয় পূর্তমন্ত্রককে যাবতীয় নির্মাণের প্রাথমিক দায়িত্ব দেয়। তারা আবার টেন্ডার ডেকে ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের বরাত দেয়। এক্ষেত্রে নিগমের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ কাজ দেখভালের দায়িত্ব থাকলেও লোকাভাবে সর্বত্র নজরদারি করা সম্ভব হয়নি। ফলে পাঁচ থেকে ১০ বছর সময় পেরলেও হাসপাতাল নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি এমন কয়েকটি প্রকল্পের সন্ধান মিলেছে। এই প্রকল্পগুলির খরচ বেড়েছে লাফিয়ে। যে সব ক্ষেত্রে খরচ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়নি, সেইসব হাসপাতালে বাধ্য হয়ে স্টাফ কোয়ার্টার বা সংলগ্ন অন্যান্য নির্মাণের কাজের আয়তন কমিয়ে দিতে হচ্ছে।