বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
অভিযোগ ছিল, নিয়মমতো সহকারী প্রধান শিক্ষককে দায়িত্ব না বুঝিয়ে নিজের মতো কাজ করে যাচ্ছিলেন স্কুলটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। সৌদীপ্তবাবু কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেসেস নামে একটি সংগঠনের সম্পাদক। একজন সহকারী প্রধান শিক্ষকের স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে দেখে তিনি ওই স্কুলের ম্যানেজিং বোর্ড সম্পর্কিত গত তিন বছরের যাবতীয় তথ্যাদি চান আরটিআইয়ের মাধ্যমে। হাওড়া জেলার ডিআই স্কুলের কাছে তা চেয়ে পাঠালেও স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাতে গুরুত্ব দেননি। সৌদীপ্তবাবু এরপর আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত কমিশনকে নির্দেশ দেয় বিষয়টি নিষ্পত্তি করার জন্য। তারও তিনমাস পরে কমিশন শুনানির ব্যবস্থা করে। ডিসেম্বরে শুনানিতে ডেকে কমিশন ওই শিক্ষককে বলেন, কেন তাঁর ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হবে না, তার উত্তর দিতে।
সৌদীপ্তবাবু বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইনের ৫ (১) ধারা অনুযায়ী পাবলিক অথরিটিকে এসপিআইও এবং অ্যাপিলেট অথরিটি নিয়োগ করতে হয়। কিন্তু কোনও স্কুলই তার মান্যতা না দেওয়ায় ৫ ডিসেম্বর স্কুলশিক্ষা দপ্তর নতুন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, সব পাবলিক অথরিটি দ্রুত এসপিআইও এবং অ্যাপিলেট অথরিটি নিয়োগ করবে। কিন্তু বারাকপুর ছাড়া কোনও ডিআই এখনও পর্যন্ত তা পালন করেছেন বলে আমাদের জানা নেই। তবে, নিয়োগ করে দায়িত্ব সারলেই হবে না। এঁদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণেরও ব্যবস্থা করতে হবে। এটা দ্রুত কার্যকর হলে স্কুলে আর্থিক এবং অন্যান্য দুর্নীতির পরিমাণও কমবে বলে তাঁর আশা। কারণ, সেক্ষেত্রে সরকারের কাছে রিপোর্ট দিয়ে দায়িত্ব সারলেই চলবে না। যে কোনও নাগরিকও সন্দেহবশত আরটিআই করলে, তা দেখাতে বাধ্য থাকবে স্কুলগুলি। ফলে, অনেক সতর্ক থাকবে তারা। এতে একটা সমান্তরাল নজরদারি থাকবে।