বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বৈঠকে স্টেট মেডিসিনাল প্লান্টস বোর্ডের অধিকর্তা ডাঃ প্রশান্ত সরকার, জে বি রায় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের ডাঃ অচ্যুত ভট্টাচার্য, ডাঃ পুলককান্তি কর, বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদিক মহাবিদ্যালয়ের সুপার ডাঃ দেবাশিস ঘোষ, শ্যামাদাস শাস্ত্রপীঠের কায়াচিকিৎসা বিভাগের প্রধান ডাঃ সুকুমার ঘোষ, কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান আইআইসিবি’র ডাঃ উমেশপ্রসাদ সিং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রশান্তবাবু বলেন, অত্যন্ত ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই আমাদের বক্তব্যের সারাৎসার দপ্তরকে জানানো হবে। তৈরি করা হবে প্রোটোকল। আশা করছি, শীঘ্রই ডেঙ্গু দমনে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে সেগুলি ব্যবহার করা হবে। দেবাশিসবাবু বলেন, ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে অ্যান্টিভাইরাল হিসেবে ভুঁই আমলকী, গুলঞ্চ, চ্যবনপ্রাশ, প্লেটলেট কাউন্ট কমলে পেঁপে পাতার রস ও মুসাম্বির রসের মিশ্রণ ইত্যাদি দীর্ঘদিন স্বীকৃত ওষুধপত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, শীঘ্রই মডার্ন মেডিসিনের পাশাপাশি এগুলির ব্যবহারও শুরু হবে। তেমনই পরিকল্পনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরেই নাস্যা, বঙ্গীয় আয়ুর্বেদ অভিযান প্রভৃতি সংগঠন ডেঙ্গু দমনের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কয়েক হাজার বছরের পুরনো দেশীয় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে রাজ্যকে অনুরোধ করে যাচ্ছিল। অবশেষে তা গ্রহণ করল সরকার।
প্রসঙ্গত, এ বছর থেকেই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গুপ্রবণ এলাকাতে রোগ মোকাবিলার কার্যকর প্রতিরোধী ও উপশমকারী দু’ধরনেরই হোমিওপ্যাথিক ওষুধ জনগোষ্ঠীতে প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। এ নিয়ে ক’দিন আগেই বৈঠক হয়েছিল স্বাস্থ্যভবনে। সেখানে হোমিওপ্যাথির ‘ড্রাগ অব চয়েস’ ইউপেটোরিয়াম পারফোলিয়েটাম সহ ইতিপূর্বে কার্যকর বিভিন্ন ওষুধ ব্যবহারের দাবি ওঠে। সেক্ষেত্রেই দ্রুত বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে সরকার। এরপর তৈরি হবে ব্যবহারের প্রোটোকল। হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদ দু’ক্ষেত্রেই এপ্রিলের পর থেকে ডেঙ্গু দমনে অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি বিকল্প হাতিয়ার হিসেবে আয়ূশ চিকিৎসা রাজ্যে প্রয়োগ শুরু হতে পারে—এমনই জানা গিয়েছে দপ্তর সূত্রে।