জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
এদিন সকালে মুচিপাড়া থানার পুলিস কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের বাইরে ফুটপাত দখলমুক্ত করার কাজ করে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ফুটপাত একেবারে অবরুদ্ধ। সাধারণ মানুষ রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। যে কোনও মুহূর্তে দুর্ঘটনার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। শুধু তাই নয়, মানুষ রাস্তায় নেমে পড়ায় যানবাহনের গতিও অনেকটা শ্লথ হয়ে পড়েছে। হকারদের একথা বুঝিয়ে দখল হওয়া ফুটপাতের একাংশ ফাঁকা করে দিতে বলা হয়। ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত জায়গা রাখার নির্দেশ দেয় পুলিস। একই ছবি দেখা গিয়েছে আর জি কর এবং এন আর এস হাসপাতালের বাইরেও। অন্যদিকে, এদিনও পিজি’র ইমার্জেন্সি গেটের বাইরে টহল দেয় ভবানীপুর থানার পুলিস। কোথাও কোনও অনিয়ম ও নিয়মভঙ্গ হচ্ছে কি না, তার উপর নজরদারি চালান উর্দিধারীরা।
লালবাজার সূত্রে খবর, এদিন ফের হাতিবাগান অঞ্চলে অভিযান চালানো হয়। গলির ভিতরে কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে বেশ কিছু জায়গা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, রাস্তার ধারে বসা ব্যবসায়ীরা নিয়ম ভাঙছেন কি না, তাও খতিয়ে দেখেন থানার আধিকারিকরা। পুলিস সূত্রের দাবি, সকলেই চলাচলের জন্য রাস্তা ফাঁকা রেখে ব্যবসা করছেন। অন্যদিকে, আলিপুর চিড়িয়াখানার মূল গেটের বাইরে ফুটপাত দখল করে বহুদিন ধরে ব্যবসা করছেন অনেকে। মঙ্গলবার সেই ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করেছিল আলিপুর থানা। এদিন সেখানে পুরসভার আধিকারিকদের সঙ্গে জেসিবি নিয়ে হাজির হয় পুলিস। একদিকের সমস্ত গুমটি, দোকান ভেঙে সাফ করে দেওয়া হয়। পাশপাশি, এদিন পার্ক সার্কাস চত্বরে ফুটপাতের উপর গজিয়ে ওঠা বেশ কিছু স্টল, গুমটি ভেঙে দেওয়া হয়। বেনিয়াপুকুর থানার তরফে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। হকার হটানো প্রসঙ্গে পুলিস কমিশনার বিনীতকুমার গোয়েল বলেন, ‘এই বিশেষ অভিযান চলবে। শহরকে পরিষ্কার রাখাই আমাদের উদ্দেশ্য’।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর মঙ্গলবার জেসিবি নিয়ে দোকান ভাঙতে নেমে পড়ে বিধাননগর পুলিস কমিশনারেট। কেবি ব্লকের প্রায় ২০টি অস্থায়ী গুমটি ভেঙে দেওয়া হয়। ওইদিন রাতে সায়েন্স সিটি চত্বরের গুমটিগুলি ভেঙে দিয়েছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস। একইসঙ্গে আনন্দপুর থানা এলাকায় খালের ধার বরাবর গজিয়ে ওঠা বেআইনি দোকানগুলিও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।