নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাজ্য এবং পঞ্চদশ ফিনান্স কমিশনের টাকা এসে গেলেও তা খরচ করতে অনেক পিছিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বহু ব্লক। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে প্রাপ্য টাকা দ্রুত খরচ করতে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শুক্রবার প্রত্যেক বিডিও, এসডিও এবং অন্যান্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক ও অন্যান্য পদস্থ কর্তারা। জানা গিয়েছে, সেখানে মূলত উন্নয়নমূলক কাজের অগ্রগতি এবং টাকা খরচের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে উঠে এসেছে একাধিক খামতির প্রসঙ্গ। বিভিন্ন ব্লক টাকা ঠিকমতো খরচ করে উঠতে পারছে না বলে অভিযোগ ওঠে। তাদের সতর্ক করে গ্রামোন্নয়নের কাজ শুরু করে টাকা খরচে গতি আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় আড়াই মাস ধরে লোকসভা নির্বাচন চলার কারণে উন্নয়নমূলক কাজ থমকে ছিল। ভোট ঘোষণার আগে যে কাজগুলি করার কথা ছিল সেগুলিও করে উঠতে পারেনি অনেকে। এদিকে পঞ্চায়েত দপ্তর টাকা খরচ নিয়ে ক্রমশ চাপ দিয়ে গিয়েছে। সেই বিষয়গুলিকে মাথায় রেখেই জেলা প্রশাসন জেলার ব্লকগুলিকে টাকা খরচ নিয়ে সতর্ক করেছে। আধিকারিকদের বক্তব্য, এলাকা উন্নয়নের কাজ ফেলে রাখা যাবে না। অবিলম্বে টেন্ডার ডেকে কাজ শুরু করতে হবে। যেগুলির টেন্ডার হয়ে গিয়েছে সেগুলির ওয়ার্ক অর্ডার দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এই কাজে অনেক ব্লক পিছিয়ে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সোনারপুর, ক্যানিং দুই, জয়নগর দুই, ঠাকুরপুকুর, মহেশতলা সহ বেশ কিছু ব্লক অর্থ কমিশনের ১০ শতাংশ টাকাও খরচ করেনি বলে জানা গিয়েছে। কারণ হিসেবে উঠে আসছে, কারও টেন্ডার ডাকতে দেরি হয়েছে। কেউ কাজ করতে ঢিলেমি দেখিয়েছে। এর পাশাপাশি একাধিক ব্লকের গ্রাম পঞ্চায়েতও এই কাজে পিছিয়ে। জেলায় পঞ্চায়েতগুলি মিলিয়ে ১৯২ কোটি টাকা রয়েছে। তার মধ্যে খরচ হয়েছে ৪০ কোটির কাছাকাছি। তবে আধিকারিকরা আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, এবার গ্রামীণ উন্নয়নের কাজে গতি আসবে। আগামী এক মাসের মধ্যে বড় অংশের টাকা খরচও হবে।
পঞ্চায়েত দপ্তর সূত্র জানা গিয়েছে, ২০২৪-’২৫ অর্থ বছরের পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আর এক কিস্তির টাকা খুব শীঘ্রই ঢুকতে চলেছে। তার আগে আগের টাকার ৬০ শতাংশের বেশি খরচ করে ফেলতে হবে। তা না হলে পরের ধাপের টাকা পেতে দেরি হতে পারে। যে সমস্ত ব্লক এই কাজে পিছিয়ে রয়েছে তাদের আরও বেশি সক্রিয় হয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।