আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
মূলত এই এলাকায় যেসব সোনার দোকান রয়েছে সেখানে একাধিক খামতি নজরে এসেছে পুলিসের। যে কোনও রকমের অপরাধ ঠেকাতে কী কী করা দরকার, সেগুলি বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। পুলিসের মতে, বেশিরভাগ দোকানেই কোনও সিসিটিভি নেই। অনেকে আবার কোনও নিরাপত্তারক্ষীও নিয়োগ করেননি। এই দু’টি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি থানার। সিসিটিভি বা অ্যালার্ম ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি পুলিসের পক্ষ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বেশ কিছু পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা দোকানে কাজ করছেন বা নতুন ঢুকছেন তাঁদের পরিচয়পত্রের প্রতিলিপি থানায় জমা দিতে হবে, তেমনই নিজেদের কাছেও তা রাখতে হবে। কেউ হঠাৎ করে কাজ ছেড়ে দিলে সেই বিষয়টিও থানার নজরে আনতে হবে ব্যবসায়ীদের। দোকানে যে ভল্ট থাকে তার নজরদারির জন্য গোপন জায়গায় ক্যামেরা বসাতে বলেছে পুলিস। সিসিটিভির মুখ এমনভাবে থাকবে যাতে কে ঢুকছে কে বেরচ্ছে তা যেন স্পষ্টভাবে বোঝা যায়। বহু ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, ডাকাতদল সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে যায়। এই প্রসঙ্গ টেনে ব্যবসায়ীদের জানানো হয়েছে যে, সিসিটিভির ফুটেজ একটি সার্ভারের সঙ্গে যুক্ত করে রাখতে হবে যাতে দুষ্কৃতীরা হার্ডডিস্ক নষ্ট করে দিলেও সেই সার্ভার থেকে ফুটেজ বের করে তাদের চিহ্নিত করা যাবে। সমস্ত স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের নিয়ে পুলিসের পক্ষ থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে বলে ঠিক হয়েছে। সেখানে নিয়মিত দু’পক্ষের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান চলবে।
নরেন্দ্রপুর স্বর্ণশিল্পী ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রতন কর্মকার বলেন, এই গোটা এলাকায় সব মিলিয়ে দুশো থেকে আড়াইশো সোনার দোকান রয়েছে। সবাইকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেসব ছোট দোকান রয়েছে, সেখানে সিকিউরিটি গার্ড রাখা সমস্যার। সেক্ষেত্রে সেই ব্যবসায়ীদের জন্য বিকল্প কী ব্যবস্থা করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা করা হবে।