হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
মে মাসের শেষে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে বৃষ্টি শহরবাসীকে সাময়িক স্বস্তি দিলেও বাড়িয়ে দিয়েছে ভোগান্তি। শহরের একাধিক রাস্তা, অলিগলি দিনের পর দিন জলবন্দি থেকেছে। সেই সমস্ত এলাকার নিকাশি মাধ্যমগুলি ডাহা ফেল করেছে। বহু জায়গায় পাম্প বসিয়ে পুরসভাকে জল বের করতে হয়েছে। টানা কয়েকদিন জমা জলে দিন কেটেছে ড্রেনেজ ক্যানাল রোড, পঞ্চাননতলা রোডের দু’ধারের একাধিক পাড়া, উত্তর হাওড়ার কামিনী স্কুল লেন, মহীনাথ পোড়েল লেন, অক্ষয় চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দাদের। শহরের রুগ্ন নিকাশি ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করতে পুরসভা যে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা নয়। প্রাক বর্ষা পর্যায়ে পাম্প হাউজ তৈরি সহ একাধিক পদক্ষেপ করেছে তারা। বহু জায়গায় বড় বড় নিকাশি নালা থেকে পলিও তোলা হয়েছে। এরই মাঝে চমক দিয়েছে হাওড়া পুরসভা। মার্চ মাসে হাইড্রান্ট সাফাইয়ে রোবট নামায় পুরসভা। গঙ্গার পশ্চিমপাড়ের শহরে যা প্রথমবার। হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডে রীতিমতো ঢাকঢোল পিটিয়ে রোবট দিয়ে হাইড্রান্ট সাফাইয়ের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি আরেকটি চমক দেয় পুরসভা। শহরের একটি ড্রেনেজ ক্যানালের ভিতরে থাকা পাঁচিল ভাঙতে নামানো হয় ডুবুরি। এর ফলে ওই ড্রেনেজ লাইনের জল পরিবহণ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে। এইসব দেখে শহরবাসীর প্রশ্ন, কাজের কাজ হবে তো? নাকি শেষমেশ মশা মারতে কামান দাগাই সার হবে? শিবপুরের রুদ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, প্রতি বছর হাওড়ায় বৃষ্টি হলেই জল দাঁড়িয়ে যায়। এত খারাপ নিকাশি ব্যবস্থা বোধহয় রাজ্যের আর কোথাও নেই। তবে গত দু’বছর কিছুটা উন্নতি হয়েছে। এ বছর কী হয় দেখা যাক। একইভাবে উত্তর হাওড়ার শুভদীপ মণ্ডল বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহার করে কতটা লাভ হল, তা বর্ষা এলেই বোঝা যাবে। একবার জোরে বৃষ্টি হলে আমাদের পাড়ায় তিনদিন সেই জল জমে থাকে। পুরসভা যদি সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে, তাহলে তো ভালোই। একই সুর সুচেতা রায়ের বক্তব্যে। তিনি বলেন, বছরের পর বছর পুরসভার নির্বাচন নেই। কীভাবে পুরসভা চলছে, সেটাই বোঝা মুশকিল। বাসিন্দাদের সমস্যা দেখার কেউ নেই। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে চাই, জমা জল দূর করতে পাকাপাকি কিছু বন্দোবস্ত হোক।
এদিকে, এ নিয়ে পুরসভার এক পদস্থ কর্তা বলেন, আমাদের প্রশাসক বোর্ড আন্তরিকভাবে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে। বিভিন্ন অত্যাধুনিক পদ্ধতি প্রয়োগ করে সমস্যা মেটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। একে প্রাচীন শহরের নিকাশি ব্যবস্থা, তার উপর বেড়েছে জনসংখ্যা। আশা করছি, আসন্ন বর্ষায় শহরের পুরনো ছবি অনেকটাই বদলে যাবে।