শারীরিক কারণে কর্মে বাধা দেখা দেবে। সন্তানরা আপনার কথা মেনে না চলায় মন ভারাক্রান্ত হবে। ... বিশদ
কীভাবে নকল লুব্রিক্যান্ট অয়েল বিক্রির বিষয়টি জানা গেল? পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে একটি নামী লুব্রিক্যান্ট অয়েল প্রস্তুতকারক সংস্থা অভিযোগ করে, কলকাতা সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় তাদের প্রোডাক্টের নকল বিক্রি হচ্ছে। লোগো থেকে শুরু করে সব কিছুই হুবহু নকল করা হয়েছে। তবে নকল লুব্রিক্যান্ট অয়েলের প্যাকেটে কোনও বার কোড নেই। তার ভিত্তিতে প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা রুজু করেছে ইবি।
তদন্তে জানা গিয়েছে, জোড়াসাঁকো, বড়বাজার সহ মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশে ছোট ছোট ঘরে তৈরি হচ্ছে এই লুব্রিক্যান্ট অয়েল। বাজার থেকে কিনে আনা হচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানির নিম্নমানের অয়েল। এরপর তার সঙ্গে মেশানো হচ্ছে বিভিন্ন ক্ষতিকারক রাসায়নিক, পোড়া মোবিল এবং ডিজেল। মিশ্রণ তৈরির পর এই নকল লুব্রিক্যান্ট অয়েল জার বা বোতলে ভর্তি করা হচ্ছে। মেশিনের মাধ্যমেই লাগানো হচ্ছে নামী কোম্পানির লেবেল। ওই নকল ইঞ্জিন অয়েল এরপর সাপ্লাই করা হচ্ছে বিভিন্ন দোকানে। আসল ও নকল অয়েলের দাম এক, যাতে ক্রেতাদের সন্দেহ না হয়। তবে প্যাকেটের গায়ে কোনও বার কোড নেই।
পুলিস জেনেছে, প্রতিদিন লরি লরি মাল যাচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। কলকাতার তুলনায় জেলাগুলিতে এই লুব্রিক্যান্ট অয়েলের বিক্রি বেশি। প্রতিটি জায়গায় এজেন্ট রয়েছে। কলকাতা থেকে এই নকল ইঞ্জিন অয়েল প্রথমে তাদের কাছে যাচ্ছে। তারপর তাদের হাত ঘুরে যাচ্ছে ছোটখাট দোকান বা রাস্তার ধারে গজিয়ে ওঠা গ্যারাজে। না বুঝে অনেকেই তা কিনছেন। খরিদ্দারকে আকৃষ্ট করতে দোকানিরা কেউ কেউ আবার কিছুটা ছাড়ও দিচ্ছেন। এই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই নকল লুব্রিক্যান্ট অয়েল কিনছেন। কারা এগুলি তৈরি করছে এবং কোথায় উৎপাদন হচ্ছে, সেই তথ্য হাতে এসেছে অফিসারদের। তার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট এলাকা ঘুরে এসেছেন তাঁরা। খুব শীঘ্রই সেখানে তল্লাশি চালানো হবে বলে ইবি সূত্রে খবর।