নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, বয়সের কারণে এবার শিবপুরের বিধায়ক জটু লাহিড়ি, দক্ষিণ হাওড়ার বিধায়ক ব্রজমোহন মজুমদাররা টিকিট নাও পেতে পারেন। তবে কয়েকদিন আগে জটুবাবু নিজেই জানিয়েছিলেন, এবারও তিনি ওই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে চলেছেন। ওই বক্তব্যের পরের দিন সকালে শিবপুরের কয়েকটি এলাকায় তাঁর নামে দেওয়াল লিখন চোখে পড়ে। যদিও জটুবাবু দাবি করেন, সেই কাজ বিরোধীদের। সূত্রের খবর, তাঁকেই যাতে ফের প্রার্থী করা হয়, তার জন্য রীতিমতো তৎপর হয়েছেন এই বর্ষীয়ান বিধায়ক। গত শুক্রবার উত্তর হাওড়ায় শীতলামায়ের স্নানযাত্রার দিনে সালকিয়া, ঘুসুড়ির নানা জায়গায় গৌতম চৌধুরীকে প্রার্থী চেয়ে ফ্লেক্স টাঙায় ‘নাগরিকবৃন্দ’। তা এখনও জ্বলজ্বল করছে রাস্তার পাশে। এই কেন্দ্রের বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা আগেই রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছেন। এই কেন্দ্রে কে প্রার্থী হতে পারেন, সেই জল্পনা গতি পেয়েছে প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক লগনদেও সিং সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়ায়। তবে অন্য দল থেকে আসা কেউ প্রার্থী হলে যে মেনে নেওয়া হবে না, সেকথা উত্তর হাওড়ার তৃণমূলের অনেকে বলতে শুরু করেছেন। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া এখন বিজেপিতে। সেই জায়গায় তৃণমূল এক জনপ্রিয় তরুণ মুখকে প্রার্থী করতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। ডোমজুড়ে চোখ থাকবে গোটা রাজ্যের। কারণ প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যাওয়ায় এখানে দুই প্রধান প্রতিপক্ষের কাছে এই আসন ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। সদ্য দলে যোগ দেওয়া এক চিকিৎসককে এখানে প্রার্থী করতে পারে তৃণমূল। জেলা পরিষদের এক প্রভাবশালী সদস্যের কথাও এখানে ভাবা হচ্ছে। শিবপুর এবং দক্ষিণ হাওড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার লড়াইয়ে জোর টক্কর চলছে হাওড়া পুরসভার দুই প্রাক্তন মেয়র পারিষদের মধ্যে। সব মিলিয়ে কে কোথায় তৃণমূলের প্রার্থী হবেন, তা নিয়ে চায়ের দোকান থেকে দলের অন্দরমহলে এখন জোর জল্পনা চলছে।