মানসিক অস্থিরতার জন্য পঠন-পাঠনে আগ্রহ কমবে। কর্মপ্রার্থীদের যোগাযোগ থেকে উপকৃত হবেন। ব্যবসায় যুক্ত হলে শুভ। ... বিশদ
এদিন প্রদীপ জ্বালিয়ে বইমেলার সূচনা করেন প্রধান অতিথি বিখ্যাত সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। শীর্ষেন্দুবাবু বইয়ের মধ্যে দিয়ে মানবজমিন তৈরির কথা বলেন। তিনি বলেন, এই সময়ে বই পড়ার জন্য অনেক মাধ্যম এসে গিয়েছে। কিন্তু এ কথা হলফ করে বলা যায়, বই কখনই হারিয়ে যাবে না। কারণ, সেই আমাদের ভালো হতে শেখায় এবং মন্দ থেকে বেরবার পথ দেখায়, ব্যক্তিত্ব তৈরি করে। ফলে বইয়ের কাছে আমাদের সকলকে সব সময় নতজানু হয়ে থাকতে হবে। সব মিলিয়ে ৭০টি প্রকাশনা সংস্থা এই মেলায় অংশ নিয়েছে।
গ্রন্থাগারমন্ত্রীর এই ঘোষণা শুনে বইমেলায় হাজির বিশিষ্টজনরা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। সাগরদ্বীপের এক প্রবীণ লেখকের কথায়, বাস্তবিক চিত্র হল, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের মোট ২৪৮০টি সরকার পোষিত গ্রন্থাগারের মধ্যে ৩৪০টি একেবারে বন্ধ হয়ে রয়েছে। তার নিরিখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ১৫৭টির মধ্যে ৩২টি তালাবন্ধ। জেলায় ১৫৬ জন গ্রন্থাগারিকের মধ্যে মাত্র ৯৭ জন রয়েছেন। ১৯টি টাউন লাইব্রেরি। তারমধ্যে তিনটিতে গ্রন্থাগারিক রয়েছে। বাকিগুলি চতুর্থ শ্রেণীর হাতে গোনা কর্মচারী দিয়ে চালাতে হচ্ছে। জেলার প্রায় ৪৬টি গ্রন্থাগারে দেওয়া হাজার হাজার টাকার দামের জেরক্স মেশিন ও কম্পিউটার লোকের অভাবে অধিকাংশ অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। বেশ কয়েকটি গ্রন্থাগারের নিজস্ব বাড়ি নেই। জানালা ও দরজা ভাঙা। ছাদ ফেটে জল পড়ছে।
এদিন সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে গ্রন্থাগারমন্ত্রীও স্বীকার করে নেন, রাজ্যের পোষিত ২৪৮০টি গ্রন্থাগারের মধ্যে ৩৪০টি তালা বন্ধ। পর্যাপ্ত গ্রন্থাগারিক ও কর্মীর অভাবে এমন পরিস্থিতির কথাও মেনে নেন। মন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে চুক্তির ভিত্তিতে গ্রন্থাগারিক ও কর্মী নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল নির্দিষ্ট জায়গাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।