উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
২৪ মে-এর পর তৈরি হওয়া ‘সারা বাংলা আইনজীবী ঐক্য মঞ্চ (ধর্না মঞ্চ)’ নামে এক সংগঠনের ব্যানারে ডাকা এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার পর রাজ্যের আইনজীবীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে ‘পেন ডাউন’ বা কর্মবিরতি আন্দোলনে শামিল হয়েছিলেন। সেই আন্দোলনকারীদের অনুরোধ ও চাপের মুখে রাজ্য বার কাউন্সিল ২৬ মার্চ কর্মবিরতি আন্দোলনকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু, সেই কাউন্সিলই ২৪ মে আচমকা আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই। এমনকী ওই সিদ্ধান্ত কাউন্সিল অগণতান্ত্রিক উপায়ে গ্রহণ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। সম্মেলনের আহ্বায়ক আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, আন্দোলনকারীরা যখন আইনজীবী নিগ্রহে অভিযুক্ত পুলিসকর্তাদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তখন কাউন্সিল অন্য এক আইপিএস অফিসার রাজীব কুমারকে আগাম জামিনের আবেদন করার সুযোগ করে দিতে তড়িঘড়ি এমন পদক্ষেপ করল বলে বহু আইনজীবী মনে করছেন।
হাওড়ার ঘটনায় বেশ কয়েকজন মহিলা আইনজীবীও নিগৃহীত হন। অথচ, রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে একটি শব্দও খরচ করেননি। আদালতে হামলা হল। অথচ, রাজ্যের আইনমন্ত্রী নিশ্চুপ। পাশাপাশি বার কাউন্সিলের কিছু সদস্য স্রেফ দলদাসের মতো আচরণ করছেন বলে সম্মেলনের একাধিক বক্তা এদিন অভিযোগ করেন। সক্রিয় আন্দোলনকারীদের অন্যতম আইনজীবী সুকান্ত বসু জানান, ‘অ্যাডভোকেটস অ্যাক্ট’ অনুযায়ী আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষাকারী বার কাউন্সিল। কিন্তু, তাদের ভূমিকা এখানে সদর্থক নয়। আর সেই কারণেই রাজ্যের বহু বার অ্যাসোসিয়েশন কাউন্সিলের আন্দোলন স্থগিত রাখার ঘোষণার পরেও এদিন ‘পেন ডাউন’ আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে বলে তিনি জানান। অথচ, আলিপুর আদালতে আইনজীবীদের একাংশ সেই আন্দোলন বিরোধী পদক্ষেপ করলে এদিন সংঘর্ষ বাধে বলে সম্মেলনে বক্তারা জানান। তাঁদের দুই আইনজীবী আহত হয়েছেন বলেও জানানো হয়। বলা হয়, কাউন্সিল এই প্রসঙ্গে সঠিক ভূমিকা না নিলে সেখানকার সদস্যদের দরকারে সরানোর জন্য পদক্ষেপ করা হবে।
আন্দোলনকারীদের ঘোষণা, ধর্না আপাতত স্থগিত থাকলেও অন্তত ২১ হাজার আইনজীবীর স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধানদের কাছে বিচার চাওয়া হবে। অভিযুক্ত পুলিসকর্তাদের শাস্তির দাবিতে যাওয়া হবে সুপ্রিম কোর্ট। যে ৫৫-৬০ হাজার আইনজীবী কষ্ট সহ্য করেও আন্দোলন চালিয়ে গিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণ না হলে ফের ‘পেন ডাউন’ আন্দোলন শুরু হবে।