উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জন্ম থেকে পোলিও রোগে আক্রান্ত শুভজিতের পড়াশুনার হাতেখড়ি মা কণিকা মালিকের কোলে চড়ে। প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রাইভেট টিউশন হোক বা বিদ্যালয়ে যাওয়া, শুভজিতের ভরসা সেই মায়ের কোল। বাড়ি থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে প্রাইভেট টিউশন পড়তে যাওয়া ছাড়াও মায়ের কোলে চড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে কল্যাণব্রত উচ্চ বিদ্যালয়ে যেতেন কলা বিভাগের ছাত্র শুভজিৎ। মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করার পর এবার ২৫০ নম্বর পেয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলেন শুভজিৎ। সোমবার দুপুরে মায়ের কোলে চড়ে বিদ্যালয়ে এসে মার্কশিট হাতে পেয়ে খুশি শুভজিৎ বলেন, এতদিন মায়ের কোলে চড়ে বিদ্যালয়ে গেলেও এবার কলেজে যেতে একটু লজ্জা লাগবে। তাঁর মতে, বিদ্যালয়ে অনেক বন্ধুবান্ধব থাকায় ততটা লজ্জা না লাগলেও এবারে নতুন জায়গায় যেতে হসে সেই কারণে একটু লজ্জা লাগছে। তবে লজ্জার থেকেও বেশি চিন্তা পড়াশুনার খরচ চালানো নিয়ে।
অন্যদিকে, ছেলের এই সাফল্যে খুশি মা কণিকা মালিক বলেন, শুভজিৎ চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময় পথ দুর্ঘটনায় স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই সংসারে চরম বিপর্যয় নেমে আসে। যদিও সংসারে চরম আর্থিক অনটনের মধ্যেই ছেলেকে জীবনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সংগ্রামে নামি। মাধ্যমিক পাশ করার পরই ছেলে কোলে চেপে বিদ্যালয়ে যেতে লজ্জা পেলেও পরে সহপাঠীদের সাহায্যে লজ্জা ভাঙে। তিনি বলেন, আমার একটাই ইচ্ছা— ছেলে পড়াশুনা করে একটা ভালো চাকরিতে যোগ দিক আর সেক্ষেত্রেও আমি ছেলেকে কোলে করে নিয়ে যেতে প্রস্তুত।