বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আনন্দপুরে খাল থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বস্তাবন্দি ওই দেহকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই মহিলার পরিচয় জানতে বিভিন্ন থানায় তাঁর ছবি পাঠানো হয়। জানা যায়, তিনি উল্টোডাঙা থানা এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলরাম বলে এক যুবকের। সে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটের সূত্র ধরেই তার সঙ্গে আলাপ হয় অর্চনার। ক্রমেই দু’জনের ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। টাকাপয়সা সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’জনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপরই নিউ মার্কেটের একটি হোটেলে নিয়ে এসে বলরাম অর্চনাকে খুন করে বলে অভিযোগ। নিজেও হোটেলের রুমে আত্মঘাতী হয়। পুলিস জানতে পারে, ঘটনায় যোগ রয়েছে হোটেলের ম্যানেজারের। অর্চনার মৃতদেহ বস্তাবন্দি করে হোটেলের কয়েকজন কর্মী। ম্যানেজার তার পরিচিত ট্যাক্সিওয়ালাকে ডেকে পাঠায়। তার গাড়িতে করে অর্চনার দেহ ফেলে আসা হয় আনন্দপুর এলাকার খালে।
কয়েকদিন পর হোটেলকর্মী আশিস যাদবকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। এরপরই তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয়। জানা যায়, অর্চনাকে খুনের সময় ওই রুমে হাজির ছিল হোটেলের ম্যানেজার হরিহর। বলরামের সঙ্গে মিলে সে ওই গৃহবধূকে খুন করে বলে অভিযোগ। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অর্চনার সঙ্গে তার প্রেমিকের যে গোলমাল চলছে, তা সে জানত। হরিহরের কথামতোই বলরাম তার হোটেলে এসে ওঠে। খুনের আগে দু’জনের মধ্যে ঝামেলার কথাও হরিহর জানত। হরিহরের কথামতো অর্চনার দেহ বস্তাবন্দি করে হোটেলের অন্য কর্মীরা। ঘটনার পরই সে পালিয়ে যাওয়ায় তার প্রতি সন্দেহ আরও দৃঢ হয় তদন্তকারী অফিসারদের। কিন্তু হাল ছাড়েননি তাঁরা। ঝাড়খণ্ডে তার বাড়ি ও আত্মীয়দের বাড়িতে নজর রাখা হচ্ছিল। পুলিস প্রথমে জানতে পারে, সে ওড়িশায় রয়েছে। সেইমতো একটি টিম সেখানে যায়। কিন্তু তারা যাওয়ার আগে সেখান থেকে পালিয়ে যায় হরিহর। ঝাড়খণ্ডে এসে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকছিল। এই খবর আসা মাত্র পুলিসের একটি টিম সেখানে হানা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিসের দাবি, ধৃত জেরায় তাদের জানিয়েছে, অর্চনাকে খুনের সময় সে শুধু উপস্থিত ছিল না, ওই গৃহবধুকে খুন করতে বলরামের সঙ্গে সেও হাত মিলিয়েছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা হোটেলের আরও এক কর্মীকে খুঁজছে পুলিস।