বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
কিছুদিন আগে সিআইডির কাছে খবর আসে, গৃহঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে মোটা টাকা তোলা হচ্ছে। রীতিমতো চক্র গড়ে এই কাজ চলছে। সেই তথ্য হাতে আসার পর তারা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করে ডায়মন্ডহারবার থানায়। জালিয়াতি, প্রতারণা, ষড়যন্ত্র সহ একাধিক ধারায় মামলা শুরু হয়। তদন্তে নেমে সিআইডির অফিসাররা জানতে পারেন, এই চক্রের সঙ্গে জড়িতরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তারা দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বর্ধমান সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে টাকা তুলেছে। এমনকী অসম থেকেও একই কায়দায় টাকা তুলছে তারা। সম্প্রতি তারা সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি দেওয়ার নামে অফিস খুলে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা টাকা আদায় করেছে। তবে এদের টাকা দিয়েও চাকরি পায়নি কেউ। তার সূত্র ধরেই প্রতারকদের অফিসের খোঁজ শুরু হয়। এই তথ্য হাতে আসার পর সেখানে হানা দেন তদন্তকারী অফিসাররা। একে একে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতারক চক্রের পাণ্ডা সহ সাতজনকে।
কীভাবে এই চক্র কাজ করত? ধৃতদের জেরা করে তদন্তকারী অফিসাররা জানতে পেরেছেন, সহজ শর্তে ও কম সুদে গৃহঋণ পাইয়ে দেবে বলে এরা বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপন দিত। তা দেখে অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করত। বলা হতো, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তি রয়েছে তাদের। তাই বড় অঙ্কের গৃহঋণ পেতে অসুবিধা হবে না। যে বা যাঁরা গৃহঋণের জন্য যোগাযোগ করেছেন, তাঁরা আশ্বস্ত হওয়ার পর প্রতারকরা বলত, এই ঋণের জন্য প্রসেসিং ফি দিতে হবে। না হলে টাকা মিলবে না। তাদের কথায় বিশ্বাস করে অনেকেই টাকা দিয়েছেন। দফায় দফায় এই টাকা নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। সিআইডি জেনেছে, একেক জনের কাছ থেকে প্রসেসিং ফি বাবদ তারা চার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিত। তারপরই তাঁদের ঘোরানো শুরু হতো। ঋণের জন্য আবেদনকারীদের বলা হতো, তাঁদের কাগজপত্রে কিছু গোলমাল থাকায় ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ঋণ দিতে পারছে না। তবে প্রতারকরা এক ফোন বেশিদিন ব্যবহার করত না। যে কারণে প্রতারিতরা কেউ তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারতেন না। এই কায়দায় তারা ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা তুলেছে বলে জেনেছেন অফিসাররা।