Bartaman Patrika
হ য ব র ল
 

আশ্চর্য আন্দাজ
রিমি মুৎসুদ্দি

মেঘলা আকাশের মতো দেবলামাসির মনটাও আজ খুবই খারাপ। সকাল সকাল রান্না সেরে চারটি মুড়ি ঘুগনি দিয়ে জলখাবার খেয়েই মাসি কাগজ কলম নিয়ে গুছিয়ে বসেছে।
মুড়ি ঘুগনি আমারও খুব প্রিয়। বিশেষ করে এই ঘুগনিটা মাসি যে কী সুন্দর রাঁধে! শুধু ঘুগনি কেন, কতবেলের আচার, আমসত্ত্ব থেকে তালের ক্ষীর সবই মাসির হাতে অপরূপ। দু-চারদিন স্কুলের ছুটি পেলেই আমতায় দেবলামাসির বাড়ি আমার আসা চাই। এবার অবশ্য বড়দিনের ছুটিতে এসেছি। 
আমার আসার খবর পেয়েই মাসি চন্দ্রপুলি, ক্ষীরের ছাঁচ, নারকোলের চিঁড়া তৈরি করেছে। প্রতিবার শীতের ছুটিতে মা আর আমি দু’জনেই আসি। এবার আমি একাই এসেছি। 
মাসির রান্নার গুণের কথা তো বললামই। রান্না ছাড়াও মাসির আরও একটা গুণের কথা এখনও বলা হয়নি। এই গুণের কারণেই মাসি সবসময় খুব হাসিখুশি থাকতে পারে না। এই হয়তো আনন্দে গুনগুন করে ঘরের কাজ সারছে, রান্নাঘরের কাজ দ্রুত হাতে সামলাচ্ছে। বেড়ালকে মাছভাত মেখে দিচ্ছে। পোষা পাখিটাকে ঝাঁঝরি দিয়ে স্নান করিয়ে পেয়ারা অথবা ছোলা খেতে দিচ্ছে। মেসো ফিরলে একপ্রস্থ লুচি ভেজে দিয়ে কফির কাপ হাতে গল্প করতে বসছে। আবার বলা নেই কওয়া নেই, ওই যে বললাম, বিশেষ একটা গুণের কারণে হঠাৎ মাসির মুখে অন্ধকার! 
সেই গুণটার কথাই বলি। দেবলা মাসি গল্প, উপন্যাস লেখে। আমার মতো দস্যিদের মাসি যেমন খাইয়ে সুখ পায়, তেমনিই গল্প বলেও খুব আনন্দ পায়। একদিন নিজের খেয়ালে একটি পত্রিকায় গল্প পাঠিয়েছিল। সেই গল্পটা মনোনীত হয়ে ছাপার পর থেকেই মাসি লেখে। 
গতমাসে মেসো একটা ল্যাপটপও কিনে দিয়েছে। ওতে গল্প লেখা আরও সহজ। মাসি যদিও এখনও কাগজ কলমেই লিখতে ভালোবাসে। নতুন যন্ত্রটায় অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। 
শীতকালের বৃষ্টি মাসির কেন আমারও তেমন ভালো লাগে না। একে বাড়ির ভেতর এমনিই ঠান্ডা তায় বাইরে বৃষ্টি! কাল এখানে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে। সঙ্গে ঝোড়োবাতাস। বাজ পড়ার সে কী কড়কড় শব্দ! আজও সকাল থেকেই আকাশের মুখভার। 
মাসির আজ বৃষ্টির জন্য মনখারাপ নয়। কাগজ কলম নিয়ে বসেছে সেই সকাল ন’টায়। এখন প্রায় বারোটা বাজে। যদিও আকাশের দিকে তাকালে সন্ধে ছ’টা মনে হচ্ছে এত ঘন ঘোর কালো!
মাসি এখনও একটা লাইনও লিখে উঠতে পারল না। আমি হাঁ করে বসে আছি। মাসি একপাতা করে লিখবে আর আমি পড়ব। অগত্যা বইয়ের তাক থেকে একটা পত্রিকার ভূতের গল্প সংখ্যাটা পড়ব বলে নিলাম। মাসি আমার হাতে পত্রিকাটা দেখেই বলল, ‘ওটা পড়ে ভালো লাগবে না। ওর মধ্যে একটাও ভূত নেই। ভূতের গল্পের নামে কেউ সুন্দরবন বিষয়ে তাঁর জ্ঞান লিখেছেন। কেউ আবার পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার ভ্রমণকাহিনি! আমি তো একটা গল্পেও ভূত পেলাম না।’ 
আমি পত্রিকাটা যথাস্থানে রাখতে যাচ্ছি মাসি বলল, ‘হ্যাঁ, আছে অবশ্য! তবে ভূত নয়। ভূতের ওঝা, বাঘের ওঝা এসব আছে। একটাও ভালো ভূতের গল্প পড়তে পেলুম না।’ 
আমি মাসির কথা মানতে পারলাম না। এমনিতেই আমার বিজ্ঞানমনস্ক মন ভূতের অস্তিত্বই মানতে চায় না। আমি বললাম, ‘ভূত বিষয়টাই তো কাল্পনিক। ভূতের গল্প লিখতে গেলে ভূতের কল্পনা যেমন থাকবে ভূতের ওঝাও তো থাকবেই।’  
মাসি কোনও তর্কে গেল না। চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর চেয়ার থেকে উঠে নিজেই বইয়ের তাক ঘেঁটে একটা পুরনো দিনের ভূতের গল্প সংকলন হাতে ধরিয়ে দিলে। 
তারপর বলল, ‘নে, এইটা পড়ে দেখ। মনে হয় বার বার  পড়ি। তেমন লেখা কোথায়? আমি নিজেও তো তেমন লিখতেই পারছি না। এই এতক্ষণ ধরে বসে বসে চার কাপ চা ধ্বংস করেও কি এক লাইনও লিখতে পারলাম? যে প্লট মাথায় আসছে তাই মনে হচ্ছে হয় লেখা হয়ে গেছে, নাহলে একদমই বাজে ভাবনা।’ 
ওই যে বললাম মাঝেমাঝে হঠাৎ মাসির মন খারাপ হয়, তা এই লিখতে না পারার জন্যই। লিখতে বসে লেখাটা এগিয়ে নিতে না পারলে অথবা নিজের লেখা নিজেরই খুব অপছন্দ হলে মাসির খুব মনখারাপ হয়। 
আজ মাসির আচরণ আরও অদ্ভুত ঠেকল। আমার হাতে যে বইটা মাসি দিল, তা আবার নিজেই ফেরত নিয়ে বলল, ‘তুতুল, তুই যা তো টুটুন-বুবুনদের বাড়ি। ওরা তো বাড়িতেই আছে। ওদের সঙ্গে একটু খেলা করে আয়।’ 
আমি অবাক হলেও বুঝলাম, একা বাড়িতে কিছুক্ষণ গল্প নিয়ে ভাববে হয়তো। 
বৃষ্টির দিনে টুটুন-বুবুনদের বাড়ি গিয়ে গল্প করতে আমার ভালোই লাগবে। অগত্যা আমি চলে এলাম। 
ওখান থেকে ফিরে আসার পর যা যা শুনেছি তাই লিখছি এখন। 
আমাকে খেলা করতে পাঠিয়ে দিয়ে, মাসি যেই পুরনো ভূতের গল্পের বইটা খুলতে যাবে, অমনি কলিং বেলের শব্দ। মাসি ভাবল, আমি বোধহয় ফিরে এসেছি। 
দরজা খুলে কিন্তু কাউকেই দেখতে পেল না। দরজার বাইরে বেঁটে কলাগাছগুলো এমন দুলছে যেন প্রচণ্ড হাওয়ার ঝাপটা। অথচ বাতাসের তেমন জোর আজ নেই! মাসি ভালো করে একবার চারপাশ দেখে দরজা বন্ধ করে লেখার টেবিলে এল। তখুনি ফোনটা বেজে উঠল। আর দপ করে ঘরের আলো নিভে গেল। অন্ধকারেই মাসি ফোন ধরল। ফোন ধরতেই ওপাশে একজন বেশ হেঁড়ে গলায় বললেন, ‘নমস্কার। আমি কি দেবলা মিত্রর সঙ্গে কথা বলছি?’ 
এপাশ থেকে ‘হ্যাঁ’ বলায় লোকটি বললেন, ‘দেবলা ম্যাডাম, আপনি আপনার বোনপোকে একটি পত্রিকা পড়তে বারণ করলেন। পত্রিকায় একটাও ভূতের গল্প পাননি বললেন। আপনি কিন্তু পুরো পত্রিকাটি নিজেও পড়েননি!’
ফোনের এ প্রান্তে মাসি পুরো হতবাক! 
—আপনি কে? কোথা থেকে বলছেন? আমার বাড়ির ভিতর আমি কী বলেছি, কী পড়েছি, তা আপনি জানলেন কীভাবে? 
—আজ্ঞে, আমি এমন কেউ নই। তবে আমিও একজন লেখক। লেখকদের অন্তর্দৃষ্টি থাকে, সে তো জানেনই। 
—আশ্চর্য! অন্তর্দৃষ্টি লেখকের থাকে তবে এরকম তো হয় না? বন্ধ ঘরের ভিতর আমি কী করলাম তা জানা লেখক কেন কারওর পক্ষেই সম্ভব নয়। 
—আহা! আমি কি বলেছি সম্ভব? আমি তো বলছি আন্দাজ। সেটা তো লেখক করতেই পারেন। তাই না?
—আন্দাজ? এরকম আশ্চর্য আন্দাজ কেউ করতে পারেন? 
—আরে বাদ দিন না ম্যাডাম। যেটা জরুরি তা হল আপনি ওই পত্রিকার সব ক’টা গল্প পড়েননি। এই অধমেরও একটা লেখা আছে ওই পত্রিকায়। সেই লেখাটাই আপনি পড়েননি। আমার নামটা এমন বিদঘুটে তাই হয়তো পড়ার ইচ্ছে হয়নি! একবার যদি অধমের গল্পটা পড়ে দেখেন! 
—আপনি লেখক। আপনি অধম কেন হতে যাবেন? কিন্তু আপনি যেভাবে ফোনে বলছেন, পুরো বিষয়টা এত অদ্ভুত যে আমি...
মাসিকে শেষ করতে না দিয়েই লোকটা বললেন,
—আমার নাম ভূতনাথ। কোনও পদবি নেই পত্রিকার পাতায়। ‘ভূতনাথের ভূতের গপ্পো’ গল্পের নাম। আপনি একবার পড়ে দেখতে পারেন।
বলেই ওপাশে ফোন রেখে দেওয়ার শব্দ। আর তখুনি ঘরের টিউবলাইটটা জ্বলে উঠল। অর্থাৎ কারেন্ট এল। 
অথচ ঠিক পাশের বাড়িতেই আমি এতক্ষণ ছিলাম। একবারও আলো নেভেনি। টুটুন-বুবুনদের বাড়িতে কোনও ইনভার্টার বা জেনারেটর নেই। 
ফোন রেখে মাসি হতভম্ব! কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। একবার জানলার পর্দা সরিয়ে দেখল। কেউ নেই তো বাইরে? থাকলেও এই দোতলার ঘরে উঁকি দিয়ে কেউ জানবে কী করে মাসি একটু আগে তুতুলকে কী বলেছে? এমন অদ্ভুত অভিজ্ঞতা মাসি কেন কারওর জীবনেই কি হয়েছে? 
টেবিলের ওপর রাখা পত্রিকাটায় মাসির চোখ যেতেই কীরকম একটা অস্বস্তি হচ্ছিল। একবার ভাবল টুটুন-বুবুনদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে ডেকে নিয়ে আসবে। মেসোকে ফোন করতে গিয়েও করল না। অফিসের কাজ ফেলে তড়িঘড়ি ছুটে বাড়ি আসবেন। একবার সদর দরজায় গিয়ে দেখে আসল। ছিটকিনি আঁটাই আছে। তাহলে ভূতনাথ লোকটা এসব বললেন কী করে? 
নিজের ঘরে ফিরে মাসি পত্রিকার পাতা খুলে সূচিপত্র দেখল। শেষের দুটো গল্পের আগেই ভূতনাথবাবুর নাম ও গল্পের নাম। লোকটি ফোনে যা বলেছেন একেবারেই মিলে গেছে। এই রহস্যের সমাধান হবে কি না মাসির জানা নেই। কিন্তু গল্পটা তো একবার পড়ে দেখতেই হয়। 
মাসি গল্পটা পড়ে ফেলল। গল্পের শুরুটা, ঝড়বৃষ্টির সন্ধ্যায় এক স্কুলছাত্রের শিক্ষকের গৃহ থেকে ফেরা দিয়ে। মাস্টারের বাড়ি থেকে ছেলেটির নিজের বাড়ি ফেরার পথে একটা বাঁশবাগান পড়ে। বাঁশবাগান এড়িয়ে বড় রাস্তা দিয়েও যাওয়া যায়। তবে রাস্তাটা বেশ কাঁচা। ঝড় বৃষ্টিতে সেই রাস্তার অবস্থা আরও শোচনীয়। আর ওই পথে বাড়ি ফিরতে বেশ অনেকটাই সময় লাগবে। ছেলেটি বৃষ্টির হাত থেকে রক্ষা পেতে বাঁশবাগানের পথই ধরল। 
গল্প ক্রমশ এগচ্ছে। একটা গা ছমছমে ভয়ের জাল ধীরে ধীরে পাঠককে ঘিরে ধরছে। আর ঠিক তখুনি গল্পটা এমনভাবে শেষ হল যেন ভূত থাকলেও থাকতে পারে আবার না থাকতেও পারে। 
মাসি পুরো গল্পটা পড়ে একদম হতবাক। এরকম গল্প তো বহুদিন পড়েনি। এই যে গা ছমছমে ভয় থেকে শেষে ভূত আছে কি নেই সেই প্রশ্নে শেষ হওয়া অর্থাৎ নিশ্চিত থেকে অনিশ্চিতে পৌঁছনো! এই তো একটা ভূতের গল্পের আসল ম্যাজিক। 
মাসি বইটা নিয়ে বসে আছে, আমি ফিরে এলাম। আমাকে এই পর্যন্ত বলে মাসি কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেল! আমিও কী বলব ভেবে না পেয়ে চুপ করেই ছিলাম। তারপর মাথায় একটা ভাবনা খেলে গেল। মাসিকে বললাম, যে নম্বর থেকে ফোন এসেছে সেই নম্বরে ফোন কর একবার। মাসি ফোনের কলার আইডি দেখে বলল, সকাল ন’টার সময় তোর মেসো অফিসে পৌঁছে ফোন করেছিল। আর তার ঠিক আধঘণ্টা বাদে তোর মা ফোন করেছিল তোদের বাড়ির ল্যান্ডফোন থেকে। এই চেনা নম্বর দুটো ছাড়া আর কোনও নম্বরই লিস্টে নেই! 
মাসিকে কেমন বিমর্ষ দেখাচ্ছে। আমি আরও একটা উপায় বার করে ফেললাম। বললাম, পত্রিকা থেকে নম্বর নিয়ে সম্পাদকীয় দপ্তরে ফোন কর। লেখকের ফোন নম্বর চাও। 
মাসি পত্রিকা দপ্তরে ফোন করছে। খুব একটা আশা আমাদের দু’জনেরই নেই। পত্রিকা দপ্তর কি লেখকের নম্বর দেবে মাসিকে? তবে এই পত্রিকায় মাসি নিজে কয়েকবার লিখেছে। তাই একটা ক্ষীণ আশা আছে। 
ফোন রেখে দিয়ে মাসি অদ্ভুত গলায় বলল, ‘খবরের কাগজ পড়েছিস আজ? কাল সন্ধেবেলায় ঝড়বৃষ্টির সময় বাজ পড়ে আমতায় পাঁচজন মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে একজন ভূতনাথবাবু।’ 
আমি এবার আর কথা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এমনও হয়? মাসি কিছুক্ষণ বাদে কেমন একটা নিস্তেজ গলায় বলল, ‘পত্রিকায় ওঁর আরও একটি গল্প মনোনীত হয়েছে । সেই খবর জানাতেই আজ পত্রিকা থেকে ওঁর বাড়িতে ফোন করেছিল। তখনই ওঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।’
আমি তখুনি খবরের কাগজ খুলে ‘বজ্রপাতে মৃত পাঁচ’ খবরটা পড়লাম। মৃতদের মধ্যে একজনের নাম ‘ভূতনাথ মজুমদার’। বাড়ি আমতায়!
23rd  June, 2024
জানা অজানা: দূরদর্শী বঙ্কিম

আগামী বুধবার সাহিত্যসম্রাটের জন্মদিন। তিনি ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। কর্মজীবনে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র। তেমনই কয়েকটি মজার ঘটনা তুলে ধরলেন অরিন্দম ঘোষ। বিশদ

23rd  June, 2024
হরেকরকম হাতের কাজ: গাছের ডালের টব

‘হরেকরকম হাতের কাজ’। ফেলে দেওয়া অপ্রয়োজনীয় জিনিস কাজে লাগিয়ে কেমন করে সুন্দর ক্রাফ্ট তৈরি করা যায়, থাকবে তারই হদিশ। এবারের বিষয় গাছের ডালের টব। এমন সব হাতের কাজ শেখানো হবে, যা কিশোর-কিশোরীরা অনায়াসেই বাড়িতে বসে তৈরি করতে পারবে। ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।  বিশদ

23rd  June, 2024
সাহিত্য পাঠের আসর

গরমের ছুটি শেষ। অবশেষে খুলে গিয়েছে স্কুল। সামনেই দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষা। জোরকদমে চলছে পড়াশোনা। তারমধ্যেই চলছে গল্প-উপন্যাস পড়া। কারও প্রিয় পাঠ্য বইয়ের গল্প। কেউ আবার পড়ার বইয়ের বাইরের গল্প-উপন্যাস ভালোবাসে। নিজেদের প্রিয় গল্প ও উপন্যাসের কথা জানাল আরামবাগের চাঁদুর হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। বিশদ

16th  June, 2024
রংবেরঙের পাখি
রুদ্রজিৎ পাল

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেক পাখি চিরকালের মতো হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাও এখনও পৃথিবীতে যেসব পাখি আছে, তাদের রং, গলার স্বর আর স্বভাবের বৈচিত্র্য সীমাহীন। এরকম বহু মানুষ আছেন, যাঁরা সময় পেলেই ক্যামেরা আর বাইনোকুলার হাতে বেরিয়ে পড়েন। বিশদ

16th  June, 2024
ডাঙায় হেঁটে বেড়ানো মাছ!
স্বরূপ কুলভী

ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল!’ কোনও কল্পনার ‘মজার দেশ’ নয়। এই পৃথিবীতেও এমন মাছ রয়েছে, যারা মাটিতে হাঁটতে পারে! তারা অবশ্য রুই-কাতলা নয়। বিশদ

16th  June, 2024
কেন ব্যাক পাসের নিয়ম বদল?

১৯৯২ সালে ডেনমার্কের ইউরো জয়কে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় অঘটন মানা হয়। সেবার তো টুর্নামেন্টে খেলারই কথা ছিল না ড্যানিশদের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বলকান যুদ্ধের জন্য যুগোস্লাভিয়ার অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বিশদ

09th  June, 2024
কোকোনাট ক্যান্ডেলস

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী।
বিশদ

09th  June, 2024
মেরুপ্রভার খেলা

গত মে মাসে বিরল মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী ছিল আমেরিকা ও ইউরোপের মানুষ। এমনকী লাদাখের আকাশে দেখা গিয়েছিল মেরুজ্যোতির খেলা। 
এই আলোকচ্ছটার রহস্য উন্মোচন করলেন কল্যাণকুমার দে।
বিশদ

09th  June, 2024
রবীন্দ্রনাথের  পরিবেশ ভাবনা

জীবনশিল্পী রবীন্দ্রনাথ। যা কবির চোখে দেখেছেন, অনুভব করেছেন, ব্যবহারিক জীবনে মানুষের মাঝে তার বিকাশ দেখতে চেয়েছেন বারবার। তাতেই তাঁর আনন্দ, তাতেই তৃপ্তি। তা না হলে বর্ষামঙ্গল, হলকর্ষণ সবেতেই বৃক্ষরোপণকে উৎসবে আয়োজনে ভরিয়ে তোলার প্রয়োজনও বোধহয় ছিল না।
বিশদ

02nd  June, 2024
চাঁদ কি ছোট হচ্ছে!

মামার বাড়ি মানেই দেদার খেলাধুলো। মায়ের চোখরাঙানি থেকে একটু নিস্তার। তিতাস দু’দিন হল মামাবাড়ি এসেছে। পরীক্ষা শেষের পর। সকালে পাশের মাঠে একটু ফুটবল খেলে বাড়ি ঢুকতেই দিদা বলল, এই রোদে কেউ খেলে? আঁচল দিয়ে মুখটা মুছিয়ে বলল, দেখ তো, চাঁদপানা মুখটা রোদে কেমন ছোট হয়ে গিয়েছে।
বিশদ

02nd  June, 2024
ঠিকানা চাও, বলছি শোন...

কবি সুকুমার রায়ের ‘ঠিকানা’ কবিতা তোমরা নিশ্চয়ই পড়েছ। আদ্যানাথের মেসোকে খুঁজতে গিয়ে কতই না চক্কর কাটতে হয়েছিল জগমোহনকে! তবে শুধু কবিতা বা সাহিত্যে নয়, যুগ যুগ ধরে কারও বাড়ি, দপ্তর, দোকানের হদিশ পেতে এমনভাবেই নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছে সকলকে।
বিশদ

02nd  June, 2024
দুঃসাহসী কলম্বাস
অনির্বাণ রক্ষিত

আমেরিকা মহাদেশের আবিষ্কর্তার নামটি শুনলেই চোখের সামনে ফুটে ওঠে ভ্রমণপিপাসু সাহসী এক নাবিকের ছবি। যিনি চেয়েছিলেন সমুদ্রপথে পাড়ি দিয়ে নতুন নতুন দেশের খোঁজ করতে। আর সেই নেশাই তাঁকে প্রেরণা জুগিয়েছিল এক নতুন মহাদেশ আবিষ্কার করার। বিশদ

26th  May, 2024
আশ্চর্য গাছ
সায়নদীপ ঘোষ

দেখলে মনে হবে নীচের অংশ আকাশের দিকে। আর উপরের অংশ রয়েছে মাটির তলায়। মস্ত বড় কাণ্ড নিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে রয়েছে গাছটি। ডালপালা, পাতা নেই বললেই চলে। ঠিক যেন মরা গাছ। তোমরা হয়তো ভাবছ, এটা নিশ্চয়ই কোনও অলৌকিক সৃষ্টি। বিশদ

26th  May, 2024
ঝুলন্ত টব

ফেলে দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ করা শেখাচ্ছেন ডিজাইনার বিদিশা বসু। তাঁর সঙ্গে কথা বললেন কমলিনী চক্রবর্তী। বিশদ

26th  May, 2024
একনজরে
অবশেষে অস্ট্রেলিয়ায় ফিরলেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। প্রায় ১৪ বছর পর। বিমানবন্দরে নামতেই তাঁকে জড়িয়ে ধরেন স্ত্রী স্টেলা। ...

দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার। কিন্তু জায়গা দু’টি একই বিধানসভার মধ্যে নয়। ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাসপাতাল স্থানান্তর হলে বদলে যাচ্ছে বিধানসভাভিত্তিক অবস্থান। আর তা নিয়েই বেনজির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ...

শহরের রাস্তা ক্রমশ সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। দু’দিকে গাড়ি গেলে মানুষের হাঁটার জায়গা থাকে না। এদিকে সেই রাস্তা জবরদখল করে বসে আছে একের পর এক দোকান। কোথাও ফুটপাত দখল হয়ে গিয়েছে হকারদের ঠেলাগাড়িতে ...

আগামী ২৭ জুন বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে পিএফ দপ্তরের ‘নিধি আপকে নিকট’ কর্মসূচি, জানিয়েছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (ইপিএফও)। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮: হেলেন কেলারের জন্ম
১৯৩৯: সুরকার রাহুল দেব বর্মনের জন্ম
১৯৬৪: অ্যাথলিট পি টি ঊষার জন্ম
১৯৮১: চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক বংশীচন্দ্র গুপ্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২২ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৯ টাকা ৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী ৩৪/১৫ সন্ধ্যা ৬/৪০। শতভিষা নক্ষত্র ১৬/৩৮ দিবা ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৮/১৯, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/১২ মধ্যে। বারবেলা ৩/০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৬/৩১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ১/৫৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সৃর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/২ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/০ মধ্যে।  
২০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল ভারত

12:07:02 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ১০ রানে আউট অক্ষর, ভারত ১৭০/৭ (১৯.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

12:03:49 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ০ রানে আউট দুবে, ভারত ১৪৬/৬ (১৭.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:52:40 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ২৩ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৪৬/৫ (১৭.৪ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:50:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ভারত ১৩২/৪ (১৭ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:48:10 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: বৃষ্টির জেরে বন্ধ ম্যাচ, ভারত ৬৫/২ (৮ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

10:01:26 PM