বিদ্যার্থীদের পঠনপাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
ক্লিক করে একটা শব্দ। আর তাতেই বাঁধা পড়ে কত স্মৃতি। শখের ক্যামেরা তাই এতটাই আদরের। কেউ বা একে পেশাদারের মতোই ব্যবহার করেন, রুটিরুজি বাঁধা থাকে তাঁদের ক্লিকের জাদুতে। আবার কেউ শুধুই ছবিশিকারী। তাই হাতে তুলে নেন ক্যামেরা। উদ্দেশ্য যা-ই হোক, সাধের ক্যামেরা কেনার আগে তার খুঁটিনাটি জানা ও তার যত্ন নেওয়াও মন দিয়ে শিখতে হয় বইকি! ডিএসএলআর হোক বা একটু কমদামি অপটিক্যাল শট, কেনার আগে সবটাই জানতে হবে খুঁটিয়ে। কোথা থেকে কিনবেন? দামই বা কেমন? যত্নের পাঠই বা কী? রইল হদিশ।
ক্যানন ডিজিটাল এসএলআর: একটু বেশি বাজেট নিয়ে ভাবলে ডিজিটাল ছাড়িয়ে এসএলআর চলে আসতে পারে হাতের নাগালে। ক্যানন ক্যামেরা জগতের অন্যতম সেরা নাম। এই ব্র্যান্ডে ভরসা করলে এর নানা মডেলের থেকে যে কোনও একটা পছন্দ করতেই পারেন। প্রতিটা মডেলই নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী আলাদা। যেমন, ক্যানন ইওএস ১৫০০ডি ২৪.১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার দাম পড়বে ৩২-৩৪ হাজারের মতো। অনলাইনে কিনলে ৩০ হাজারের মধ্যেই অফারে পাবেন।
আবার এই ব্র্যান্ডেরই ইওএস ২০০ডি ২৪.১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার দাম পড়বে ৫৩ হাজার টাকার কাছাকাছি। আই ডিটেকশন এএফ সহ এই ক্যামেরা খুব টেকস্যাভি। ছবি তোলার আরামও অনেক বেশি।
পেশাদার কাজে ক্যামেরা ব্যবহার করতে হলে অনেকেই পছন্দ করেন ক্যাননের ইওএস ৮৫০ডি মডেলের ক্যামেরাটিকে। আই অ্যান্ড ফেস ডিটেকশনের সুবিধা আছে এই ২৪.১ মেগাপিক্সেল ক্যামেরায়। দামও বেশ চড়া। বাজেট অনেকটা বেশি হলে বাছতে পারেন এই ক্যামেরাকে। অফলাইনে কিনলে ৯৫ হাজার টাকায় পাবেন এই ক্যামেরা। অনলাইনে কিনলে অনেক সময় অফার থাকে। তখন বেশ কিছুটা ছাড়ে প্রায় ৭৫-৮০ হাজার টাকায় কিনতে পারেন এই ক্যামেরা।
নিকন: বাজেট মাঝারি মানের হলে আর নিকনের অনুরাগী হলে, ক্যামেরা কেনার ক্ষেত্রে নিকন কুলপিক্স বি৬০০-কে বেছে নিতে পারেন আপনি। ১৬ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরার দাম ২৬-২৭ হাজার টাকার মধ্যে পড়বে। অনলাইনে অফারে কিনলে ২২-২৩ হাজারের মধ্যেও পেতে পারেন এই মডেলটি।
ছবি তোলার নেশা থাকলে বা শখের ফোটোগ্রাফি করতে হলে নিকন ডি-৩৫০০ অন্যতম সেরা পছন্দ হতে পারে। ২৪.২ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরায় এইচডি মোডে পুরো ভিডিয়ো শ্যুট করা যেতে পারে। সমস্ত আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন এই ক্যামেরার দাম পড়বে ৩৭-৩৮ হাজার টাকা।
পেশাদারি ক্যামেরার জগতে নিকন ডি৫৬০০-কে একেবারে অন্যভাবে উপস্থাপন করেছে এই সংস্থা। ৪টি ইমেজ প্রসেসিং ইঞ্জিন সহ ২৪.১মেগাপিক্সেল এই ক্যামেরা কিনতেই পারেন। ছবির মান ও ছবি তোলার পদ্ধতি দুইয়ের ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তির শরণ নেওয়া হয়েছে। দাম পড়বে ৬৫-৬৭ হাজার টাকার মধ্যে।
একঘেয়ে মেটালিক এরকঙা ক্যামেরা পছন্দ না হলে নিকনের কুলপিক্স ডব্লু১৫০ কিতে পারেন। এটি প্রিন্টেড চেহারার। ১৩.২মেগাপিক্সেল এই ক্যামেরার দাম পড়বে ১৩৭৭৮ টাকা।
সোনি: ছবি তোলার নেশা আছে, কিন্তু বাজেট খুব বেশি নয়। তাহলে সোনির ডিএসসি ক্যামেরা হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ। অফলাইনে দোকান থেকে কিনলে এই ধরনের ক্যামেরার দাম পড়বে ৮৬০০ টাকা। অনলাইনে কিনলে আর একটু কম দামে, ৭৫৯৯ টাকায় পাবেন এমন ক্যামেরা। ডিএসসি বিভাগেরই ডব্লু ৮৩০ মডেলটি কিনলে তার দাম পড়বে ৭৯৯৯ টাকা। কালো ও মেটালিক সাদা দু’রকম রঙেই এই ক্যামেরাটি পাবেন। ২০.১ মেগাপিক্সেলের এই ক্যামেরা বেশ জনপ্রিয়।
বাজেট অনেকটা বেশি হলে সোনির আলফা আইএলসিএফ ৬১০০ওয়াই মডেলটিও কিনতে পারেন। এপিএসসি সেন্সর, ফাস্ট অডিও ফোকাস, রিয়েল টাইম আইএএফ সহ নানা আধুনিক প্রযুক্তি এতে মজুত রয়েছে। দাম পড়বে ৮০৯৯০ টাকা।
তবে ক্যামেরা শুধু কিনলেই তো হল না, চাই তার সঠিক যত্নও। তাই ক্যামেরা কেনার আগেই জেনে নিন কোন কোন উপায়ে তার খেয়াল রাখবেন।
• ক্যামেরার সঙ্গে ক্লিনিং কিট না কিনে থাকলে কিন্তু পস্তাতে হবে। ক্লিনিং কিট একটু দামি হলেও এই কিট অবশ্যই কিনুন। ক্যামেরার যত্ন নিতে ও সাফসুতরো রাখতে এটি খুব উপযোগী।
• ক্যামেরার ব্যাগ ছাড়া ক্যামেরা নিয়ে বাইরে বেরনোর ভুল মোটেও নয়। এমন করলে ক্যামেরারই ঝুঁকি বাড়ে।
• ক্যামেরার লেন্স বডি ও লেন্স গ্লাস পরিষ্কার করার জন্য নরম মোলায়েম ব্রাশ ব্যবহার করুন। ভালো হয় মাইক্রোফাইবার কাপড় কিনে রাখলে। লেন্স গ্লাস পরিষ্কার করার সময় লেন্স গ্লাসের গায়ে আলতো হাতে মাইক্রোফাইবার বুলিয়ে পরিষ্কার করে নিন।
• অনেকেই লেন্স বদল করার নিয়মে ভুল করেন। এমন সময়ে ক্যামেরার মুখটি সবসময় নীচের দিকে রাখুন। অব্যবহৃত লেন্সকে এন্ড ক্যাপের কভার দিয়ে ঢেকে রাখুন।
• ক্যামেরার স্ট্র্যাপটি পুরনো হলেই তা বদলে নিন। গলায় ঝোলানো অবস্থায় হঠাৎ ছিঁড়ে পড়ে গেলে ক্যামেরার মস্ত ক্ষতি হবে, ভেঙেও যেতে পারে।
• যদি চান ক্যামেরায় ধুলোবালি কম জমুক, তাহলে অকারণে বেশিক্ষণ লেন্স কভার খুলে রাখবেন না। এতে ক্যামেরা টিকবে বেশিদিন।
• ক্যামেরার ভিতরের ময়লা, ধুলো ইত্যাদি পরিষ্কার করার জন্য ক্যানড এয়ার ব্লোয়ার ব্যবহার করবেন না। বরং ভরসা রাখুন হ্যান্ড এয়ার ব্লোয়ারে। এতে ক্যামেরার গায়ে অতিরিক্ত চাপ পড়বে না। ক্যামেরা বেশি দিন ভালো থাকবে।