অভিনব পেশায় মেয়েরা
ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় মেয়েরা ছিল ব্রাত্য। তবু কয়েকজন সেই নিয়ম ভেঙেছিলেন। আগামী ২৩ জুন বিশ্ব ইঞ্জিনিয়ারিং দিবস। তার প্রাক্কালে কয়েকজন মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের কথায় রাতুল দত্ত।
কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায় থেকে সুচিত্রা সেন, ইন্দিরা গান্ধী থেকে মীরা কুমার, দূর্বা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে সুচেতা কৃপালিনী এমনকী হাল আমলের অরুন্ধতী ভট্টাচার্য— বহু বিষয়ে প্রথম মহিলাদের নাম আজ আমাদের নখদর্পণে। উনিশ শতকের প্রথমদিক থেকেই মহিলারা নানা পেশায় আসতে শুরু করলেও অদ্ভুতভাবে আজও ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় মহিলাদের পরিসংখ্যান যথেষ্টই কম। ভারতের প্রথম কয়েকজন মহিলা ইঞ্জিনিয়ারের নাম বলতে গেলে হয়তো গুগল সার্চ করেও সঠিক তথ্য মিলবে না। পরিসংখ্যান বলছে, এখনও ভারতের দুই-তৃতীয়াংশ ইঞ্জিনিয়ারই পুরুষ। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতার বেশ কয়েক বছর আগেই এই ভাবনায় কুঠারাঘাত করতে চেয়েছিলেন কয়েকজন মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। আজ তাঁরা ক্রমশই ইতিহাসের অতল গভীরে।
এ ললিতা
মধ্যবিত্ত রক্ষণশীল তেলুগু পরিবারে জন্ম। নিয়ম ছিল পরিবারে একমাত্র ছেলেরাই পাবে উচ্চশিক্ষা এবং সেই সুযোগ পেলে অবশ্যই ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে। কিন্তু মেয়েরা পাবে শুধুই প্রাথমিক শিক্ষা। ফলে ললিতার ইঞ্জিনিয়ার বাবা পাপ্পু সুব্বা রাও, মেয়েকে ক্লাস টেন পর্যন্ত পড়িয়ে বিয়ে দিলেন। এর কয়েক মাস পরেই মেয়েটির জীবনে নেমে এল চরম দুর্ঘটনা। স্বামী মারা গেলেন, মেয়ে শ্যামলার বয়স তখন চার মাস। আর ললিতার বয়স মাত্র আঠারো বছর। দাম্পত্যজীবন আর স্বামীকে হারিয়ে হয়ে উঠলেন সে সময়ের সিঙ্গল মাদার। মেয়ের জেদ দেখে নিজের কলেজে এনে ভর্তি করে দিলেন তাঁর বাবা। পাঁচ বছর পর, পুরুষ সমাজতন্ত্রের মুখে চুন-কালি দিয়ে মাদ্রাজের কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পাশ করলেন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় নিয়ে।
সেসময় কিন্তু মেয়েদের মধ্যে ডাক্তারি পড়ার প্রচলন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু হয়নি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রচলন। ললিতা ডাক্তার হতে চাননি। কারণ ওইটুকু শিশুকে ফেলে রেখে একজন চিকিৎসকের দিন-রাতের ডিউটি তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কলেজের একশো জন পড়ুয়ার মধ্যে একমাত্র তিনিই মেয়ে হলেও একদিনের জন্যও পড়াশোনা করতে সমস্যা হয়নি। কমবয়স্ক একজন বিধবা মহিলা, সঙ্গে শিশুকন্যা থাকলেও নিজে থাকতেন আলাদা হোস্টেলে আর মেয়েকে রেখেছিলেন আত্মীয়ের বাড়িতে।
পড়াশোনা শেষ করে এবার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরির খোঁজ। জামালপুর রেলওয়ে ওয়ার্কশপে ট্রেনিং নিয়ে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছর চলে এলেন কলকাতায়, ব্রিটিশ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড ইলেক্ট্রিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ-এ যোগ দিতে।
ললিতাই হলেন ভারত থেকে নির্বাচিত প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার, যাঁকে ১৯৬৪ সালে নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এর দু’বছর পরেই তাঁকে লন্ডনের ইনস্টিটিউশন অব ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার্স-এর কাউন্সিল সদস্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। ৬০ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হলেও ললিতার জীবনস্রোতে আজকের মহিলা ইঞ্জিনিয়াররা খুঁজে পান মেয়ে হিসেবে লড়াইয়ের বাড়তি অক্সিজেন।
ইলা মজুমদার
বাংলার প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার তথা ভারতের প্রথম মহিলা মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ইলা মজুমদার জন্মেছিলেন তৎকালীন পূর্ব বাংলার ফরিদপুরের মাদারিপুর গ্রামে। বাবা যতীন্দ্রকুমার ছিলেন বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস-এর অবিভক্ত বাংলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। তখনকার দিনে গাড়ি চালানো তো দূরস্থ, মেয়েদের পা পড়ত না সাধারণ সাইকেলের প্যাডেলেই। সেই সময় মূলত বাবার সাহসেই তরুণী ইলা সাইকেল এবং পরবর্তীকালে ষোলো বছর বয়সে জিপ চালানো শিখেছিলেন। তিনিই শিবপুর বিই-কলেজের প্রথম ছাত্রী, শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বিদেশযাত্রা করেন। কলকাতার প্রথম তথা ভারতের দ্বিতীয় মহিলা পলিটেকনিক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা এবং দেরাদুনের অর্ডিন্যান্স কারখানায় ভারী যন্ত্রাংশ তৈরির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেও কর্মরত মহিলা। ১৯৪৭ সালে শিবপুর বিই কলেজের দরজা প্রথম ছাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হল। প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হলেন দু’জন ছাত্রী, ইলা মজুমদার আর অজন্তা গুহ। পরবর্তীকালে অজন্তা গুহ দ্বিতীয় বর্ষে বাদ চলে গেলে একা ছাত্রী হিসেবে রয়ে গেলেন ইলাদেবী।
তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও সুযোগ পেয়েছিলেন, কিন্তু ভর্তি হননি। ভর্তি হলে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ইতিহাসে এই মাইলফলক তিনি ছুঁতে পারতেন না। তবে তাঁকে অন্য ছেলেদের মতো সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে দেওয়া হয়নি বলে মেকানিক্যাল পড়তে বাধ্য হয়েছিলেন। প্রথমে প্রিন্সিপালের বাংলোর কোণার দিকের ঘর, তারপর লাইব্রেরির বাঁদিকের ঘরে উঠে যাওয়া— এভাবেই ঘর পাল্টে চালাতে হয়েছিল পড়াশোনা। পরবর্তীকালে দিল্লি পলিটেকনিক এবং কলকাতার ইনস্টিটিউট অব জুট টেকনোলজির প্রথম মহিলা লেকচারারও ছিলেন তিনি।
প্রথা ভেঙে সাহসের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং ও প্রযুক্তি বিদ্যাকে পুরুষের সঙ্গে সমানতালে গ্রহণ করে তৎকালীন মহিলাবর্জিত এক চাকরিক্ষেত্রে সত্যিই মাইলফলক স্থাপন করে গেছেন এই বঙ্গতনয়া।
পি কে থ্রেসিয়া
দেশের প্রথম মহিলা সিভিল ইঞ্জিনিয়ার তথা চিফ ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে থ্রেসিয়ার নাম ইতিহাসে সবসময় লেখা থাকবে। আসলে এ ললিতার সঙ্গে একই বছর পাশ করেন তিনিও, যদিও এক বছর পরে পাশ করার কথা ছিল। ভর্তিও হয়েছিলেন পরের বছর। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ললিতার ব্যাচের পরীক্ষা কয়েক মাস পিছিয়ে দেওয়ায় তাঁরা একসঙ্গে পাশ করেন মাদ্রাজের কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে। কেরলের খ্রিস্টান পরিবারের মেয়ে থ্রেসিয়ার বাবা ছিলেন একজন কৃষিবিদ। বাড়িতে শিক্ষার পরিবেশ। মূলত বাবা কাক্কাপানের সাহসেই মেয়ে ভর্তি হন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে। কিন্তু যখন পাশ করলেন, বাবা ছেড়ে চলে গিয়েছেন।
মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে, স্বাধীন ভারতের প্রথম বছর থেকেই তাই শুরু হল লড়াই। ব্রিটিশ ভারতে কোচিনের পূর্ত দপ্তরে একজন সেকশন অফিসার হিসেবে জয়েন করে একসময় একটি রাজ্য বা দেশ তো বটেই, এশিয়ার কোনও দেশের কোনও রাজ্যের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হয়েছিলেন একজন মহিলা হিসেবে যা গর্বের। সালটা ১৯৭১। সেদিন মালয়ালম মনোরমা সংবাদপত্রে তাঁর একটি ইন্টারভিউ প্রকাশিত হয়েছিল, যাতে তিনি বলেছিলেন— ‘আমি যখন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলাম, তখন এই পেশায় কোনও মেয়ে আসত না। সম্পূর্ণ পুরুষ নিয়ন্ত্রিত ছিল এই পেশা। কিন্তু মেয়ে বলে এবং মহিলা হিসেবে এই কঠিন পেশায় এসে আমার বিন্দুমাত্র অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই। বরং আমি গর্ব বোধ করি প্রথা ভেঙে এই পেশায় আসতে পেরেছি বলে।
শকুন্তলা ভগৎ
শুধু মহিলা নন, একজন ভারতীয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবেই শকুন্তলা ভগতের নাম ছড়িয়ে পড়েছিল নানা দেশে। বিশেষ করে ব্রিটেন, জার্মানি এবং আমেরিকায়। পরবর্তীকালে স্বামীর সঙ্গে যৌথভাবে একটি ফার্ম তৈরি করে তিনি ৬৯টি সেতুর নকশার মূল কারিগর হয়ে উঠেছিলেন। শকুন্তলা ভারতের অন্যতম প্রথম মহিলা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারও।
তাঁর বাবাও অবশ্য ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। ১৯৫৩ সালে মুম্বইয়ের বীরমাতা জিজাবাঈ টেকনোলজিক্যাল ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম মহিলা হিসেবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ডিগ্রি অর্জন করেন।
এরপর ৬০-এর দশকে মুম্বই আইআইটি-র অধ্যাপনা, প্রথম মহিলা হিসেবে। ৭০-এর দশক তাঁর দেশজুড়ে স্বীকৃতিলাভ, একের পর এক সেতু নির্মাণের মূল রূপকার হিসেবে। ১৯৭২-৭৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই কাশ্মীর থেকে অরুণাচল প্রদেশ, ৬৯টি সেতু নির্মাণ হয়। ২০১২ সালে দেশ তাঁর অন্যতম মহিলা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে হারালেও নানা প্রান্তে গড়ে ওঠা ব্রিজগুলির মধ্যেই তিনি চিরস্মরণীয় মহিলা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে বেঁচে থাকবেন।
রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়
বিবাহসূত্রে একজন বাঙালির সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের পথ চলা শুরু করলেও রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায় ছিলেন কর্নাটকের বাসিন্দা এবং পরবর্তীকালে সেই রাজ্যের প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। একই সঙ্গে তিনি ভারতের প্রথম মহিলা ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, যিনি প্রথম স্কলারশিপ নিয়ে মহিলা হিসেবে বিদেশে পাড়ি দিয়েছিলেন, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ এমএসসি ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভের জন্য। মার্কিন মুলুকে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি মেয়ের ভারত থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে গবেষণা করতে আসা ব্রিটিশ ভারতে, স্বাধীনতার একমাস আগে (১৯৪৭-এর জুলাই) সত্যিই কঠিন পথ ছিল। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে এসে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েেন্সস-এর ফ্যাকাল্টি মেম্বার শিশির কুমার চ্যাটার্জিকে বিবাহ করেন। মূলত তাঁর উদ্যোগেই দেশে প্রথম মাইক্রোওয়েভ গবেষণাগার তৈরি হয় এবং প্রথম মহিলা গবেষক হিসেবে মাইক্রোওয়েভ ইঞ্জিনিয়ারিং-এ নিজেকে ডুবিয়ে দেন। রাজেশ্বরীদেবীর নিজের কথায়, তিনি মহিলা হিসেবে লড়াইয়ের অনেকটা শক্তি পেয়েছিলেন, তাঁর ঠাকুমা কমলাম্মা দাসাপ্পার কাছ থেকে। কারণ তিনি ছিলেন মাইসোর শহরের প্রথম মহিলা স্নাতক।
আজীবন বিজ্ঞান এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এর পূজারিণী রাজেশ্বরীদেবী ব্যাঙ্গালোর সেন্ট্রাল কলেজ থেকে বিএসসি এবং এমএসসি-তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন। পেয়েছেন দেশ-বিদেশের বহু সম্মাননা। অনেকে বলেন, তিনি নোবেলজয়ী পদার্থবিদ সি ভি রমনের কাছেও গিয়েছিলেন গবেষণার জন্য, কিন্তু কোনও কারণে তিনি তাঁকে নেননি। বর্তমানে তাঁর কন্যা ইন্দিরাও আমেরিকার নেভাডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগেরই অধ্যাপক।
রাজলক্ষ্মী রেড্ডি
মাদ্রাজের কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং দেশের যে ক’জন দিকপাল ইঞ্জিনিয়ারের জন্ম দিয়েছে, রাজলক্ষ্মী রেড্ডি তাঁদের অন্যতম। এ বিষয়ে অবশ্য পথ দেখিয়েছিলেন ললিতাদেবী। রাজলক্ষ্মী রেড্ডি প্রথমে অন্য শাখায় ভর্তি হলেও ১৯৪৫ সালে যখন দেশে প্রথম টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো চালু হল, সেখানে নাম ট্রান্সফার করে নিলেন। অর্থাৎ দেশের প্রথম মহিলা টেলিকম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে ইতিহাসে নাম তুললেন তিনি।
প্রথমে টেলিফোন ইন্ডাস্ট্রি ও পরে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে চাকরি পেলেন গোঁড়া হিন্দু ব্রাহ্মণ পরিবারের এই মেয়ে। এই সময় পরিচয় হল ওই কলেজেরই আর এক প্রাক্তনী লক্ষ্মণের সঙ্গে। কিন্তু দেশের নানা প্রান্তে ঘুরতে হবে বলে এই ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে প্রবল আপত্তি করে পরিবার।
কিন্তু তাতে কর্ণপাত না করে রেডিও’র চাকরি নিয়ে দেশের নানা রেডিও স্টেশনে ঘুরে বেড়ালেন রাজলক্ষ্মী। এই সময় তিনি দিল্লিতে জওহরলাল নেহরু বা লতা মঙ্গেশকরেরও ইন্টারভিউ রেকর্ড করেছিলেন। ১৯৭০ সালে কমলা নেহরু পলিটেকনিক ফর উইমেন কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মেয়েদের ইঞ্জিনিয়ারিং শাখায় আকৃষ্ট করতে কম্পিউটার সায়েন্স, গারমেন্ট টেকনোলজি, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও ক্যাটারিং, ফার্মাসি, আর্কিটেকচার ইত্যাদি শাখার সূচনা করেন।
লীলাম্মা কোশি
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পি কে থ্রেসিয়ার সঙ্গে আরও একটি মেয়ে ভর্তি হয়েছিলেন এবং পরবর্তীকালে এ ললিতার সঙ্গে একই কলেজ থেকে প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ারিং স্নাতক হন। সে সময় মেয়েরা কেউই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তেন না বলে তিনি ডাক্তারিতে ভর্তি হন। কিন্তু মনের শক্তি নিয়ে শব ব্যবচ্ছেদ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছিল না। ফলে ডাক্তারি ছেড়ে ভর্তি হলেন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ। পরবর্তীকালে ত্রিবাঙ্কুর-এর মহারানির সাহচর্যে আসেন এবং ব্রিটেনে পড়াশোনা করতে যান। শোনা যায়, শেষ জীবনে আধ্যাত্মিক ভাবধারায় জড়িয়ে পড়েন।
19th June, 2021