ছোট ও মাঝারি ব্যবসায় উন্নতি। বেচাকেনা আর উপার্জন বাড়বে। যে কোনও কাজে ব্যস্ততা বৃদ্ধির যোগ। ... বিশদ
নদীয়ার বাসিন্দা বিট্টু দত্ত। তিনি তাঁর এলাকার শাড়ি শিল্প নিয়ে ছোটবেলা থেকেই গর্বিত ছিলেন। ২০১৩ সালে তাঁর বাবার দোকান ‘দত্ত শাড়ি ঘর’-এর দায়িত্ব নেন তিনি। এই প্রতিষ্ঠানটিতে হাতে শাড়ি তৈরির পাশাপাশি পাওয়ার লুমেও সুতির শাড়ি বানানো হয়। নদীয়ার এই ঐতিহ্যকে বজায় রেখে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য নতুন ডিজাইনের শাড়ি তৈরি করতে উদ্যোগী হন বিট্টুবাবু। বর্তমানে এই দোকানে উচ্চমানের ডিজাইনের সুতির শাড়ি বিক্রি হয়। দোকানের সামগ্রীর মান সঠিক রাখতে বিট্টুবাবু এলাকারই ২৫ জন যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়ে শাড়ি তৈরির কাজে নিযুক্ত করেছেন। এরফলে এলাকার মানুষও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছেন। এই সময় নিজের দোকানের সামগ্রীগুলি সারা দেশের মানুষের কাছে সহজলভ্য করে তুলতে তিনি ই-কমার্স সাইট ফ্লিপকার্টের ‘সামর্থ প্রকল্প’-এর সঙ্গে যুক্ত হন। গোড়ায় অনলাইন মার্কেট সম্পর্কে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন বিট্টুবাবু। কিন্তু মুশকিল আসনে এগিয়ে আসেন ফ্লিপকার্টের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার। তিনিই তাঁকে অনলাইনে ব্যবসার প্রসারের বিষয়ে প্রয়োজনীয় যাবতীয় পরামর্শ দেন। তাঁর কথায়, এর মাধ্যমে ফ্লিপকার্টের এই প্রকল্প সম্পর্কে আরও বিশদে জানতে পারেন তিনি। বর্তমানে ফ্লিপকার্টের দৌলতে ৩০০টিরও বেশি আইটেম রয়েছে দত্ত শাড়ি ঘরের নামে।
বিট্টুবাবুর কাহিনীর মত অনেকটা একইরকম কাহিনী কোমলপ্রসাদ পালেরও। ২০১৭ সালে একটি দুর্ঘটনায় তিনি তাঁর ডান হাতটি হারান। সুস্থ হয়ে কাজে ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন যে পুরনো কাজ তিনি আর আগের মতো দক্ষভাবে করতে পারবেন না। তখন তাঁর পরিবারের দায়িত্ব নিতে তিনি ব্যবসাকেই বেছে নেন। ধীরে ধীরে নেবুলাইজার, ব্রেস্ট পাম্প সহ মা ও সদ্যোজাতদের জন্য একাধিক প্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করতে শুরু করেন। কিন্তু তা হচ্ছিল এলাকার মধ্যেই। ব্যবসার প্রসার বাড়াতে আরও উদ্যোগী হতে ২০১৯ সালে ফ্লিপকার্ট সেলার হাবের মাধ্যমে ই-কমার্সের সংস্পর্শে আসেন কোমলপ্রসাদবাবু। ফ্লিপকার্টের এক সদস্য তাঁকে তাঁর ব্যবসায় সাহায্যের আশ্বাসও দেন। এরপর সমস্ত কাগজপত্রের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর তিনি ই-কমার্সের দুনিয়ায় পা রাখেন। বর্তমানে প্রতিদিন তিনি অনলাইনে ৫০টিরও বেশি সামগ্রী বিক্রি করেন। সৌজন্যে অবশ্যই ফ্লিপকার্টের ‘সামর্থ প্রকল্প’। এখন ফ্লিপকার্টের দৌলতে তাঁর বিক্রি ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি প্যাকেজিংয়ে সাহায্যের জন্য একজনকে নিয়োগও করেছেন।
এভাবেই ফ্লিপকার্টের ‘সামর্থ প্রকল্প’-এর মাধ্যমে বহু কুটির শিল্পী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিজেদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন। আর এভাবেই প্রতিবন্ধকতাকে হারিয়ে ঐতিহ্যকে আলোর দিশা দেখাতে গোটা দেশবাসীর কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে ফ্লিপকার্ট।