বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছিলেন, মার্কিন অনলাইন শপিং সংস্থা ভারতের উন্নতিতে বিনিয়োগ করছে না। ছাড়ের প্রতিযোগিতায় নেমে লোকসানের বহর তারা কীভাবে কমাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তারপরেই শুক্রবার আমাজনকর্তা নতুন ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরির প্রতিশ্রুতি দেন। বর্তমানে ভারতে রয়েছেন বেজোস। গত বুধবারই তিনি ঘোষণা করেছিলেন, দেশের ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি অনলাইন ব্যবসায়ীদের উন্নতিতে ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে তার সংস্থা। এবং ২০২৫ সালের মধ্যে আমাজন এক হাজার কোটি টাকা মূল্যের ভারতে তৈরি পণ্য রপ্তানি করবে।
এরপরেই শুক্রবার বিবৃতি জারি করেন আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা-সিইও বেজোস। তিনি বলেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতে নতুন ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হবে। এছাড়া, গত ছ’বছরে আরও সাত লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে আমাজন। পাশাপাশি, ভারতের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে সংস্থার কর্মী, ব্যবসায়ী এবং বিক্রেতাদের প্রশংসা করা হয়েছে। শুধু বিবৃতি নয়, আমাজন ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে একটি পোস্টও করেছেন বেজোস। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘বর্তমানে ৬০ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী বিশ্বব্যাপী ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ পণ্য রপ্তানি করছে। যার জেরে মোট রপ্তানির অঙ্ক ছাড়িয়েছে এক হাজার কোটি টাকা। আমি যখনই ভারতে আসি, দেশের প্রেমে পড়ে যাই। সীমাহীন উদ্যম, অভিনবত্ব এবং ভারতীয়দের মনবল আমাকে সবসময় অনুপ্রাণিত করে।’
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সংস্থা আমাজন ভারতে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। ২০১৪ সালে সংস্থার কর্মীসংখ্যা বেড়েছে চার গুণেরও বেশি। আমেরিকার পর গত বছরই হায়দরাবাদে নিজেদের প্রথম ক্যাম্পাস তৈরি করেছে আমাজন। কর্মী এবং এলাকার নিরিখে সংস্থার এটাই বিশ্বের বৃহত্তম ক্যাম্পাস। যেখানে ১৫ হাজার কর্মী চাকরি করেন। সাড়ে নয় একর এলাকাজুড়ে অবস্থিত আমাজনের এই ক্যাম্পাস।