বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহযোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন হতে ... বিশদ
১০০ টাকা আয় করতে যে টাকা খরচ করতে হয়, সেটিই রেলের অপারেটিং রেশিও। যা রেলমন্ত্রকের আর্থিক অবস্থার পরিচায়কও বটে। রেল তথাকথিত কোনও লাভজনক সংস্থা না হলেও এই অপারেটিং রেশিওর হার দেখেই বোঝা যায়, মন্ত্রকের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ঠিক কোন জায়গায় রয়েছে। এবং এর সুরাহার জন্য ঠিক কী কী পদক্ষেপ করতে হবে। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রেলের অপারেটিং রেশিও ছিল ৯৭.২৯ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা আয় করতে রেলকে খরচ করতে হয়েছে ৯৭ টাকা ২৯ পয়সা। অথচ ওই আর্থিক বছরে রেলের অপারেটিং রেশিওর বাজেট টার্গেট ছিল ৯২.৮ শতাংশ। পরে তা সংশোধিত হয়ে টার্গেট দাঁড়ায় ৯৬.২ শতাংশ। অর্থাৎ ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষেও রেলের পক্ষে এই অপারেটিং রেশিওর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। সরকারি সূত্রের খবর, সেই একই পরিস্থিতি সম্ভবত তৈরি হতে চলেছে ২০১৯-২০ সালেও। আগামী মাসেই ২০২০-২১ আর্থিক বছরের যে সাধারণ বাজেট পেশ করা হবে, সেখানেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১০০ টাকা আয় করতে খরচের উপর নিয়ন্ত্রণের জন্য মূলত দুটো পদ্ধতি রয়েছে। এক, রেলের খরচ কমিয়ে দেওয়া এবং দুই, রেলের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করা। এই লক্ষ্যে গত ৩১ ডিসেম্বর বিভিন্ন শ্রেণিতে কিলোমিটার পিছু এক থেকে চার পয়সা ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। যা কার্যকর হয়েছে গত ১ জানুয়ারি থেকে। আর এই পরিস্থিতিতেই রেল মনে করছে, অপারেটিং রেশিওর টার্গেট পূরণ না হলেও তা লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি থাকতে পারে। এমনিতেই খরচ নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে রেলমন্ত্রক। সংসদের গত শীতকালীন অধিবেশনেই ক্যাগ রিপোর্ট পেশ করে জানিয়েছে, ২০১৭-১৮ সালে রেলের অপারেটিং রেশিও গত ১০ বছরের মধ্যে সবথেকে খারাপ পর্যায়ে রয়েছে। ৯৮.৪ শতাংশ। রেল ইতিমধ্যেই ব্যাখ্যা দিয়েছে, সপ্তম পে কমিশন কার্যকরের ফলেই এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি রেলবোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব নিজেই জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ এ রেলের আয় বেড়েছে। ২০১৮ তে যা ছিল ১১৩ শতাংশ, ২০১৯ সালে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২১ শতাংশ। কিন্তু এই আয়ের মধ্যে ৪০ শতাংশই খরচ হয়ে যাচ্ছে কর্মচারীদের বেতন দিতে। আর ৬৫ শতাংশ খরচ হচ্ছে বেতন এবং পেনশন খাতে। ফলে অপারেটিং রেশিওতে লাগাম পরানো যাচ্ছে না।