আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
ম্যাচের ফল ১-১। মূল্যবান পয়েন্ট নিয়ে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল আজ্জুরি ব্রিগেড। নক-আউটে ইতালির প্রতিপক্ষ সুইৎজারল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সুইসরা পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে। আয়োজক দেশ জার্মানিকে কড়া টক্কর দিয়ে ১-১ ড্র করেছিল তারা। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে, বার্লিনে সুইস গেট টপকানো সহজ হবে না ইতালির পক্ষে।
ম্যাচ শেষ। কর্নার ফ্ল্যাগের সামনে গোটা ইতালি দল হুমড়ি খেয়ে পড়েছে জাকাগনির উপর। তখন ডাগ-আউটের সামনে জার্সি দিয়ে চোখ মুছছেন ‘বৃদ্ধ’ মডরিচ। এই ম্যাচে তো তাঁরই নায়ক হওয়ার কথা। কারণ, ৫৫ মিনিটে তাঁর গোলেই এগিয়ে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। তার আগে পেনাল্টি মিস করেছিলেন। পর মুহূর্তেই ডোনারুমাকে পরাস্ত করে প্রায়শ্চিত্ত সারেন রিয়াল তারকা। কোচ ডালিচ নোটবুকে লিখে নিয়েছিলেন ছেলেদের পারফরম্যান্সের খতিয়ান। ভেবেছিলেন, নক-আউটে যা তাঁকে দল সাজাতে সাহায্য করবে। কিন্তু কে জানত, সেই নোটবুক জায়গা পাবে ডাস্টবিনে।
ক্যালাফিওর ঠিকানা লেখা পাস থেকে জাকাগনির বাঁক খাওয়ানো শটে অনবদ্য গোল বহুদিন মনে থাকবে ফুটবলপ্রেমীদের। ২০০৬ বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে এমনই গোল করে ইতালিকে জিতিয়েছিলেন দেল পিয়েরো। সেই স্মৃতি ইউরো মঞ্চে ফেরালেন জাকাগনি। রাতারাতি প্রচারের আলোয় তিনি। বললেন, ‘দেল পিয়েরো আমার আইডল। আমার বেডরুমে ওর ছবি রয়েছে। ইউরোতে আসার আগে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছিল। ওর মতো গোল করতে পেরে ভালো লাগছে।’ এই ইতালি দলের রক্ষণ বড়ই ভঙ্গুর। দুর্বল ম্যান মার্কিং। কখনও কখনও মনে প্রশ্ন জাগে, বাস্তোনি-ডারমিয়ানরা কি বারেসি-মালদিনি-কানাভারোদের উত্তরসূরি? এছাড়া আক্রমণভাগ নিয়েও বেশি কিছু বলার নেই। পিছিয়ে পড়ার পর কিছুটা খোলস ছেড়ে বেরনোর চেষ্টা করলেও গোল করার লোক নেই ইতালি দলে। তাই তো সুপার-সাব জাকাগনিই ভরসা।