আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ
অস্ট্রিয়া-৩ : নেদারল্যান্ডস-২
ডর্টমুন্ড: ম্যাচের আগে টেলিভিশন ক্যামেরার ক্লোজ আপে দেখা গেল এমবাপেকে। হাতে ধরা মাস্ক, দু’চোখ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। পাতলা মাস্ক পরে ফরাসি অধিনায়ক মাঠে নামতেই উচ্ছ্বাস গ্যালারিতে গর্জে উঠলেন ফরাসি সমর্থকরা। চোট কাটিয়ে গ্রুপের শেষ ম্যাচে পোল্যান্ডের হয়ে লিওয়ানডস্কিও মাঠে নামলেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ম্যাচ ড্র হল ১-১ গোলে। পেনাল্টি থেকে এমবাপে ফ্রান্সকে লিড দেওয়ার পর স্পটকিক কাজে লাগিয়ে দলকে সমতায় ফেরান লিওয়ানডস্কি।
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে অধিনায়ককে সামনে রেখেই ৪-৩-৩ ফর্মেশনে দল সাজান দিদিয়ের দেশঁ। এমবাপেকে রুখতে গিয়ে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন পোল্যান্ডের জিলেস্কি। তাঁর গতি আটকাতে জোনাল মার্কিংয়ের রাস্তায় হাঁটল বিপক্ষ। এরই মধ্যে ১৯ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন দেম্বেলে। একা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষককে পেয়েও হাতে পারেন ফরাসি উইঙ্গার। ৫৬ মিনিটে দেম্বলেকে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডার বক্সে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ফ্রান্স। জাল কাঁপালে ভুল হয়নি এমবাপের (১-০)। ৭৯ মিনিটে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়। লিওয়ানডস্কির পেনাল্টি ফরাসি গোলরক্ষক রুখে দেন। কিন্তু কিক নেওয়ার আগে তিনি গোললাইন ছাড়ায় ফের স্পটকিকের নির্দেশ দেন রেফারি। এক্ষেত্রে লক্ষ্যভেদে ভুল করেননি লিওয়ানডস্কি। গ্রুপের অন্য ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে ৩-২ গোলে হারিয়ে বড় চমক দিল অস্ট্রিয়া। মরণ প্রতিপক্ষ অস্ট্রিয়া। মরণ বাঁচন পরিস্থিতিতে ডাচদের হারাতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক স্ট্র্যাটেজি নেন কোচ র্যাংনিক। ম্যাচে ছয় মিনিটেই লিড পায় অস্ট্রিয়া। বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল করে ফেলেন মালান। বিরতির পর রোনাল্ড কোম্যানের দলকে সমতায় ফেরান গাকপো। এরপর পরের পর নাটকীয় পরিস্থিতিতে জমে ওঠে ম্যাচ (১-১)। ৫৯ মিনিটে শরীর ছুড়ে হেড করে ফের অস্ট্রিয়াকে এগিয়ে দেন রোমানো। এরপর পালা ডাচেদের। মেমফিস ডিপে ২-২ করার পর জয়ের আশা দেখতে শুরু করেন সমর্থকরা। কিন্তু ৮০ মিনিটে দুরন্ত শটে লক্ষ্যভেদ করে ডাচদের সব আশায় জল ঢালেন মার্সেল। দুরন্ত জয়ের পর তিন ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে পৌঁছল অস্ট্রিয়া। দ্বিতীয় স্থানে ফ্রান্স। দিদিয়ের দেশঁর দলের পয়েন্ট ৫।