ওসাসুনা- ০         :    বার্সেলোনা- ২
(আলবা, মোরিবা)
মাদ্রিদ: লা লিগায় বার্সেলোনার জয়ের ধারা অব্যাহত। শনিবার অ্যাওয়ে ম্যাচে ওসাসুনাকে ২-০ গোলে হারাল রোনাল্ড কোম্যানের দল। ফের একবার নায়ক লায়োনেল মেসি। নিজে স্কোরশিটে নাম না তুললেও, দলের দু’টি গোলের ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান রয়েছে। প্রথমার্ধে মেসির ঠিকানা লেখা পাসে জাল কাঁপান জর্ডি আলবা। এরপর ম্যাচের শেষ লগ্নে মোরিবার গোলটি আসে এলএমটেনের বাড়ানো পাস থেকেই। এই জয়ের সুবাদে ২৬ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখল কাতালন ক্লাবটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
লা লিগায় মরশুমের শুরুটা মোটেই ভালো হয়নি বার্সেলোনার। প্রথম ১০ ম্যাচে মাত্র চারটিতে জয়ের মুখ দেখেছিল তারা। হারতে হয়েছিল সমসংখ্যক ম্যাচে। যার জেরে একটা সময় লিগ টেবিলে ১৪তম স্থানে নেমে গিয়েছিল তারা। তারপরই দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় বার্সা। টানা ১৬টি ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে তারা। যার মধ্যে জয় পেয়েছে ১৩টিতে। উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর কাডিজের কাছে শেষবার হারের মুখ দেখেছিল কোম্যান-ব্রিগেড। গত বুধবার কোপো ডেল রে সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে সেভিয়াকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেন মেসিরা। শনিবার সেই ছন্দ ধরে রেখে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে বার্সা। ২১ মিনিটে বক্সের বাইরে মেসিকে অবৈধভাবে আটকাতে গিয়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক হেরেরা। তবে ভারের সাহায্য নিয়ে দেখা যায় অফসাইড পজিশনে ছিলেন আর্জেন্তাইন মহাতারকা। যার জেরে রেফারিকে সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়। অবশ্য এর মিনিট দশেকের মধ্যেই প্রথম গোল তুলে নেয় বার্সা। ৩০ মিনিটে মেসির দুরন্ত পাস থেকে বার্সাকে এগিয়ে দেন আলবা (১-০)।
বিরতির পর একইভাবে চাপ বজায় রেখেছিল বার্সেলোনা। এই পর্বে বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন পেড্রি, গ্রিজম্যানরা। কোম্যানের অধীনে চলতি মরশুমে একাধিক তরুণ ফুটবলার নজর কেড়েছেন। এদিনও পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে স্কোরশিটে নাম তোলেন ১৮ বছরের মোরিবা। বক্সের ঠিক বাইরে মেসির পাস থেকে বুদ্ধিদীপ্ত ডজে প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁপায়ের শটে জাল কাঁপান এই তরুণ মিডিও (২-০)।
এদিকে, রবিবারই বার্সেলোনার সভাপতি পদের জন্য ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। মেসি, বুস্কেটস, আলবাদের পাশাপাশি প্রাক্তন কোচ লুইস এনরিকেও নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদান করেন। উল্লেখ্য, চলতি মরশুমের শুরুতেই প্রাক্তন সভাপতি জোসেফ মারিয়া বার্তেমিউয়ের বিরুদ্ধে একরাশ অভিযোগ এনে দল ছাড়ার ব্যাপারে মনস্থির করেছিলেন মেসি। চুক্তির জাঁতাকলে আরও এক মরশুম থেকে যেতে হয় আর্জেন্তাইন মহাতারকাকে। তবে চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেন বার্তেমিউ।