নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
মোতেরার পিচ নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ার আগ্রহ তুঙ্গে। কারণ, ভারত-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট শেষ হয়েছিল দু’দিনের কম সময়ে। সেখানেই বৃহস্পতিবার সিরিজের চতুর্থ তথা অন্তিম টেস্ট খেলতে নামছে দুই দল। স্বাভাবিকভাবেই বারবার আলোচনায় উঠে আসছে পিচ প্রসঙ্গ। গত কয়েকদিনে পিচের উপর প্রলেপ পড়েছে। রোল হয়েছে ক্রমাগত। তবে উইকেটের চরিত্র রাতারাতি বদল করা সম্ভব নয় বলেই মত ওয়াকিবহালমহলের। তাই চতুর্থ ম্যাচেও স্পিনারদের হাতেই ম্যাচের রাশ থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম ম্যাচ হেরেও সিরিজের ভারতের দুর্দান্ত কামব্যাকের পিছনে স্পিনারদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। সেই অস্ত্রেই ফের ব্রিটিশ বধের পরিকল্পনা টিম ইন্ডিয়ার। দুরন্ত ফর্মে আছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও অক্ষর প্যাটেল। গত ম্যাচে ইংল্যান্ডকে মূলত তাঁরাই শেষ করে দিয়েছিলেন। ফলে ওয়াশিংটন সুন্দর হাত ঘোরানোর খুব বেশি সুযোগ পাননি। এই ম্যাচে সুন্দরকে বসিয়ে কুলদীপ যাদবকে খেলানো হতে পারে। বুমরাহের জায়গায় হয়তো খেলবেন উমেশ যাদব। দ্বিতীয় পেসার হিসেবে ইশান্ত শর্মার সঙ্গে লড়াইয়ে রয়েছেন মহম্মদ সিরাজ।
টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিংয়ে পরিবর্তনের কোনও খবর নেই। রোহিত শর্মা ও শুভমান গিলই ওপেন করবেন। কঠিন পিচে গোলাপি টেস্টে হিটম্যান দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছিলেন। এই ম্যাচেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান হিটম্যান। চেতেশ্বর পূজারা বড় রান পেলে ভারতীয় ব্যাটিং মজবুত হবে। পরিসংখ্যান বলছে, দীর্ঘদিন সেঞ্চুরি নেই কোহলির ব্যাটে। সেই খরা অবশ্যই কাটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করবেন ভিকে। পাশাপাশি অজিঙ্কা রাহানেও নামের প্রতি সুবিচার করতে মরিয়া। এই ম্যাচেও উইকেটের পিছনে দায়িত্ব সামলাবেন ঋষভ।
গোলাপি টেস্টে প্রথম সেশন থেকেই বল ঘুরেছিল। তা সত্ত্বেও চার পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জো রুট। পিচ বুঝতে যে. তিনি ভুল করেছিলেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই বুধবার অনুশীলনে নামার আগে মোতেরার পিচে হুমড়ি খেয়ে পড়েছিলেন ইংল্যান্ড ক্যাপ্টেন। পিচের চরিত্র বোঝার চেষ্টাই ছিল তাঁর লক্ষ্য। তবে রুটের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের নিশ্চয়ই এটা বুঝতে অসুবিধা হয়নি, এই পিচে দুই স্পিনার খেলানো দরকার। তাই জ্যাক লিচের সঙ্গে ডম বেসের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। সঙ্গে পার্টটাইম স্পিনার হিসেবে তিনি কয়েক ওভার হাত ঘুরিয়ে দেবেন। পেসার হিসেবে জোফ্রা আর্চারের সঙ্গে জেমস অ্যান্ডারসনকেই হয়তো খেলাবে ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি ও সিবলে ওপেন করতে পারেন। তিনে খেলার সম্ভাবনা জনি বেয়ারস্টোর। সীমিত ওভারের সিরিজের আগে মনোবল ফিরে পেতে মরিয়া ইংল্যান্ড। সেক্ষেত্রে টেস্ট সিরিজ ড্র করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে রুটের ভূমিকা।