উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ব্যাটিং অর্ডারে এতদিন ধরে চার নম্বর পজিশন নিয়ে যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ছিল, তা অনেকটাই দূর হল লোকেশ রাহুল চার নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি পাওয়ায়। সেই সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনির অনবদ্য সেঞ্চুরি ভারতীয় ব্যাটিংয়ের গভীরতার প্রমাণ দিল।
ভারত ৭ উইকেটে ৩৫৯ রান তোলে। তবে শুরুটা কিন্তু মোটেও ভালো হয়নি ‘টিম ইন্ডিয়া’র। প্রথম দশ ওভারে ভারতের রান ছিল ১ উইকেটে ৩৪। ওপেনিং জুটি জমাট বাঁধছে না। নিউজিল্যান্ড ম্যাচেও হতাশ করেছিলেন রহিত শর্মা ও শিখর ধাওয়ান। এদিনও তাঁরা বড় রান করতে ব্যর্থ। মেঘাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকলেই ইংল্যান্ডের পিচে বল নড়ছে। সেক্ষেত্রে ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে দুই ওপেনারের টেকনিকের দুর্বলতা ছিটকে বাইরে বেরিয়ে আসছে শুরুতেই। বাংলাদেশের তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বলে লেগ বিফোর হয়ে মাঠ ছাড়েন ধাওয়ান (১)। রহিত শর্মার সংগ্রহ মাত্র ১৯ রান। ১৫ ওভার পর্যন্ত ভারতের রান রেট ছিল ৩.৮৬। তার উপর দু’টো উইকেটও পড়ে গিয়েছিল। যদিও ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি তৃতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। বেশ ভালোই ব্যাটিং করেন বিরাট। অল্পের জন্য হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন তিনি। ৪৬ বলে কোহলির সংগ্রহ ৪৭ রান।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এদিন এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চেয়েছিলেন। চার নম্বরে নামানো হয়েছিল লোকেশ রাহুলকে। আর পাঁচে বিজয় শঙ্করকে। মূলত চার নম্বর পজিশনের লড়াইটা এই দু’জনের মধ্যে। কিন্তু লোকেশ এদিন টেক্কা দিলেন বিজয়কে। কারণ, তামিলনাড়ুর পেস-অলরাউন্ডার বিজয় শঙ্কর ব্যাট হাতে মাত্র ২ রান করেন। তবে লোকেশ রাহুল শুরু থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। পঞ্চম উইকেটে মহেন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে তিনি ১৬৪ রান যোগ করায় ভারত সহজেই ৭ উইকেটে ৩৫৯ রান তুলে ফেলে। লোকেশ রাহুল ৯৯ বলে করেন ১০৮ রান। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১২টি চার ও চারটি ছক্কা। তবে রাহুলকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন ধোনি। তিনি শতরান পূর্ণ করেন ছক্কা হাঁকিয়ে। মাহির ব্যাটিং তাণ্ডবে ডেথ ওভারে দিশেহারা হয়ে পড়েন বাংলাদেশের বোলাররা। ৭৮ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ধোনির সংগ্রহ ১১৩ রান। হার্দিক পান্ডিয়া করেন ২১ রান।