হস্তশিল্পীরা বিশেষ স্বীকৃতি ও সুনাম পেতে পারেন। পারিবারিক ক্ষেত্রে চাপ। ব্যয় কিঞ্চিৎ বাড়তে পারে। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, পানাগড়ের কাবারিপট্টির বাসিন্দা মনপ্রীত সিং পূর্বা গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা করেন। ওড়িশার ওই দম্পতিকে গাড়ির যন্ত্রাংশ কেনার জন্য তিনি কয়েক দফায় প্রায় ১৯ লক্ষ টাকা পাঠান। কিন্তু দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও গাড়ির যন্ত্রাংশ বা টাকা কিছুই ফেরত পাননি তিনি। এরপর পুলিসের দ্বারস্থ হন ওই ব্যবসায়ী। কাঁকসা থানার পুলিস তদন্তে নেমে ওড়িশা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। মনপ্রীত বলেন, গত বছর মে মাসে সমীর আমাকে ফোন করে একটি কোম্পানির বিভিন্ন সামগ্রী আছে বলে জানায়। আগেই ওকে টাকা পেমেন্ট করেছিলাম। কিন্তু ওখানে মাল আনতে গিয়ে দেখি ওই কোম্পানির সঙ্গে সমীর চুক্তিবদ্ধই নয়। ক্ষমতার জোর দেখিয়ে কারখানার মাল তুলছিল। আমি টাকা ফেরত চাই। সেখানে হুমকি দেওয়া হয়। তবে টাকা দেওয়ার ব্যাপারে আমার সঙ্গে ওদের কোর্ট এগ্রিমেন্ট ছিল। সেটা দেখিয়েই পুলিসের দ্বারস্থ হই। মনপ্রীত জানান, আগেও কয়েকবার ওই দম্পতির সঙ্গে কারবার হয়েছে। তখন সন্দেহের কোনও কারণ ছিল না। তবে এবার টাকা চাইতে গেলে প্রাণে মারার হুমকিও দেয়। টাকা আদায়ের জন্য ওড়িশায় প্রায় আট মাস ছিলাম। কিন্তু হুমকিতে ফিরতে বাধ্য হই। শুধু তাঁর সঙ্গে নয়, আরও অনেকের সঙ্গে ওই দম্পতি প্রতারণা করেছে বলে ব্যবসায়ীর দাবি।
ব্যবসায়ীদের একাংশের বক্তব্য, পানাগড়ের কাবারিপট্টি গাড়ির যন্ত্রাংশের অন্যতম বড় বাজার। মাল কেনাবেচার জন্য অনেক সময়ই মোটা অঙ্কের লেনদেনও হয়। ভিন রাজ্যেও কারবার চলে। তবে এবার সকলকে সতর্ক হতে হবে। স্থানীয়দের একাংশের বক্তব্য, ব্যবসায়ীর আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত কোর্ট এগ্রিমেন্ট না থাকলে তিনিও পুলিসের দ্বারস্থ হতে পারতেন না। কাঁকসা থানার পুলিস জানিয়েছে, ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।