নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তার পর রাজ্যের নানা প্রান্তে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেও এখনও এনিয়ে পরিকল্পনার স্তরেই আটকে রয়েছে আসানসোল-দুর্গাপুর। বুধবার দুর্গাপুর পুরসভার কনফারেন্স হলে এডিডিএ ও দুর্গাপুর পুরসভা যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করে। সেখানে দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রতিটি এলাকায় খাটাল চিহ্নিত করে রিপোর্ট দিতে। শুক্রবারের মধ্যে আমরা সেই রিপোর্ট পাব। তারপরই সরকারি জমিতে যেসব খাটাল রয়েছে তা উচ্ছেদ করা হবে। এডিডিএর চেয়ারম্যান কবি দত্ত বলেন, অন্য শহরের থেকে দুর্গাপুরের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে রেল ও সেইলের বিপুল জমি রয়েছে। তাই আমাদের সরকারি জমিতে উচ্ছেদ হওয়ার পর অন্যের জমিতে যেন জবরদখল না হয় সেজন্য সব কর্তৃপক্ষ একসঙ্গে অভিযান চালাবে। আমরা দু’টি মোবাইল নম্বর চালু করেছি। সাধারণ মানুষও সেখানে জবরদখলের অভিযোগ জানাতে পারবেন। আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নেব। তিনি আরও বলেন, আমাদের একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে। তারা অভিযোগ পেলেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাবে। প্রতি সপ্তাহে পুলিস-প্রশাসনের পক্ষ থেকেও যৌথ পরিদর্শন করা হবে। যাতে উচ্ছেদের পর কেউ ফের তা দখল করতে না পারে। অনিন্দিতা আরও জানান, আমরা বেনাচিতি বাজার এলাকার রাস্তাও দখলমুক্ত করতে চাই। প্রথমে মাইকিং করা হবে। তারপর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বুধবারই আসানসোল পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়। সেখানে কাউন্সিলারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, কোন এলাকায় সরকারি জমি দখল হয়েছে তা চিহ্নিত করতে হবে। দ্রুত সেইসব জায়গায় উচ্ছেদ অভিযান হবে বলে জানান আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। আসানসোল পুর নিগমে বোর্ড মিটিং।-নিজস্ব চিত্র