জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে বুদবুদের এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই বধূর। দু’বছর আগে তাঁদের একটি সন্তানেরও জন্ম হয়। স্বামী কর্মসূত্রে ওড়িশায় থাকেন। দীর্ঘদিন স্বামী বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই সময়ই তাঁর হৃদয়ে জায়গা করে নেয় গলসির বাসিন্দা এক পারিবারিক আত্মীয়। মাত্র এক বছরের বড় সেই যুবককেই মন দিয়ে বসেন গৃহবধূ। তারপর বেশ কিছুদিন ধরে চুটিয়ে চলে পরোকীয়া। প্রেম জমে ক্ষীর হতেই একে-অপরকে ছেড়ে থাকতে পারছিলেন না। সিদ্ধান্ত নেন বিয়ে করবেন। গলসির যুবক কাজ করেন কেরলে। সেই কেরলেই ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখে আপ্লুত হয়ে পড়েন বধূ। চলতি মাসের প্রথম দিকে বেরিয়ে পড়েন শ্বশুরবাড়ি থেকে। স্বামী ওড়িশায় কর্মরত। বাড়িতে বছর দুয়েকের ছেলে, স্বামী কোনওকিছুর পরোয়া করেননি। কেরলায় পাড়ি দেন প্রেমিকের হাত ধরে। অন্যদিকে স্ত্রীর ঘর ছাড়ার খবর পেয়ে বাড়ি ফিরে আসেন স্বামী। সন্তানকে নিজের কোলে তুলে নেন। অন্যদিকে বধূর বাবা বুদবুদ থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরি করেন। প্রায় দু’সপ্তাহ ধরে ঘোরাঘুরি, অফুরান আনন্দে কাটিয়ে ঘরমুখো হন প্রেমিক-প্রেমিকা। কিন্তু সেখানে এসেই নতুন ঘর বাঁধার স্বপ্ন ভাঙে। এক সন্তানের মাকে নিয়ে ঘরে ঢুকতেই প্রেমিকের বাড়ির লোকজন আপত্তি তোলেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই মেয়েকে তাঁরা কোনওভাবেই ঘরের বউ হিসেবে মেনে নেবেন না। স্ত্রীর প্রেমিকের সঙ্গে ফিরে আসার খবর পান স্বামীও। তিনিও আর স্ত্রীকে ঘরে তুলতে নারাজ। এই অবস্থায় মঙ্গলবার বুদবুদ থানাতেই রাত কাটাতে হয় গৃহবধূকে। বুধবার তাঁকে তাঁর বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়।