জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
তারাপীঠে রথযাত্রার মাহাত্ম্যই আলাদা। সাধারণত জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাকে রথে বসিয়ে ভারতবর্ষে রথযাত্রা উৎসব পালিত হয়। কিন্তু তারাপীঠে তারামাই জগন্নাথের প্রতিভূরূপে রথে আরোহন করেন। একাধারে তিনি কালী, অন্যদিকে তিনিই কৃষ্ণ। তাঁরই প্রমাণ মেলে রথযাত্রা উৎসবে। সোজা রথ থেকে উল্টো রথ, দুই পর্যায়ের রথেই মা তারা অধিষ্ঠিত হন। তারাপীঠের ইতিহাস সূত্রে জানা যায়, আনুমনিক ১৭৮০ সালে নাটোরের রানি ভবানীর দত্তক পুত্র রাজা রামকৃষ্ণ তারাপীঠে রথের প্রচলন করেন। পরবর্তীকালে কলকাতার আশালতা সাধুখাঁ নামে এক ভক্ত রথঘর নির্মাণ করেন। যার উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়। সেই সময় কাঠের তৈরি একটি রথে তারা মাকে বসিয়ে গোটা চণ্ডীপুর গ্রাম (বর্তমানে তারাপীঠ নামে পরিচিত) প্রদক্ষিণ করানো হতো। সেই সময় রথের দড়িতে টান দিতে স্থানীয় মানুষ ছাড়াও আশেপাশের বাসিন্দারা ভিড় জমাতেন। হরিনাম সংকীর্তন, বিভিন্ন রকম বাজনা ও জয় তারা ধ্বনি সহযোগে তারা মাকে রথে চাপিয়ে গ্রাম ঘোরানো হতো। তবে সময় যত গড়িয়েছে, তারা মায়ের রথের মাহাত্ম্য ততই প্রসিদ্ধ লাভ করেছে। বর্তমানে রথের দড়িতে টান দিতে রাজ্যবাসী ছাড়াও ঝাড়খণ্ড, বিহার সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের মানুষ ভিড় জমান।
এবার রবিবার রথযাত্রা হওয়ায় ভিড় কয়েকগুণ বাড়বে বলে আশা করছে মন্দির কমিটি। ইতিমধ্যে হোটেল বুকিংও শুরু হয়েছে। হোটেল মালিক নিতাই মাল বলেন, অধিকাংশই শনি ও রবি দু’দিনের জন্য বুকিং করেছেন। রথের আগের দিন থেকেই ভিড় জমতে শুরু করবে।
মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ওইদিন বিকেল ৩টের সময় দেবী তারাকে রাজবেশে সাজিয়ে তাঁর নিজস্ব রথে চাপানো হবে। সন্ধ্যা ৬টার সময় মন্দিরে ফিরিয়ে এনে দেবীকে স্নান ও সন্ধ্যারতির পর শীতল ভোগ নিবেদন করা হবে। ওইদিন যেহেতু প্রচুর ভক্তের ভিড় থাকবে, তাই অনেক রাত অবধি মন্দির খুলে রাখা হবে।
এদিকে দেবীর রথযাত্রা যে রাস্তা দিয়ে যাবে ও আসবে সেখানে জায়গায় জায়গায় লকিং ব্রিক্স উঠে গিয়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ফলে রথের চাকা আটকে যেতে পারে। এছাড়া ভক্তদেরও দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছেন তারাপীঠের বাসিন্দারা। যদিও এব্যাপারে টিআরডির ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, পিএইচই সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট গড়ে তোলার সময় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি করেছিল। তারপর ওই দপ্তরে বহুবার বলা হলেও রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে না। দেবীর রথযাত্রার আগে টিআরডিএ সেই সমস্ত খানাখন্দ ভরাট করে দেবে।