জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ
বাখরাবাদ থেকে খাকুড়দা পর্যন্ত রাস্তার পাশে রয়েছে খালিনা, রেডিপুর, কুশবাসন, রাধানগর সহ একাধিক হাটবাজার এলাকা। এই রাস্তার পাশে একাধিক স্কুলও রয়েছে। কয়েকশো টোটো, পণ্যবাহী গাড়ি রোজ এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। বেশ কয়েক বছর ধরে সংস্কারের অভাবে এই রাস্তায় বড় বড় গর্ত দেখা দিয়েছে। সামান্য বৃষ্টিতে সেই গর্তে জল জমে রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। বাখরাবাদ থেকে খালিনা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিমি রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে, প্রায়শই সেখানে দুর্ঘটনা লেগে থাকে। নির্বাচনের আগে ইট দিয়ে রাস্তার কিছুটা অংশ সারাই করা হলেও এখন রাস্তাটি ফের বেহাল হয়ে পড়েছে।
প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলে যান খালিনা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তপন জানা। তিনি বলেন, বাইকে করে এই রাস্তা দিয়ে যেতে ভয় করে। বড় বড় গর্তের কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। কুশবাসনের বাসিন্দা তথা নিত্যযাত্রী বাদল দাস বলেন, টোটোয় করে এই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। এত বড় বড় গর্ত হয়েছে যে, তা সামলে টোটো চালানো দুষ্কর হয়ে পড়ে। এলাকার বাসিন্দা তথা নারায়ণগড় পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সুশান্ত ধল বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত স্টোন চিপস ও ধানবোঝাই লরি যাতায়াত করে। ভারী যান চলাচল করায় রাস্তাটি বসে গিয়েছে।
রাস্তার একাধিক জায়গায় জলনিকাশি ব্যবস্থা ঠিক নেই। ফলে জল জমে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে এই রাস্তা সংস্কারের জন্য বলেছি। জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নির্মল ঘোষ বলেন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় তৈরি রাস্তার লোড ক্যাপাসিটি ১০ টন। কিন্তু ওই রাস্তার উপর দিয়ে তার চেয়ে বেশি ভারী যান চলাচল করে। সেজন্য রাস্তাটি পূর্তদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া উচিত। পূর্ত দপ্তর যাতে এই রাস্তার দায়িত্ব নেয়, তার জন্য প্রশাসনিকভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।-নিজস্ব চিত্র